২০৩০ সাল পর্যন্ত সংরক্ষিত বনের গাছ কাটা যাবে না

আগামী ২০৩০ সাল পর্যন্ত সংরক্ষিত বনের গাছ কাটা যাবে না—এমন বিধান রেখে দেশের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সংরক্ষিত ও প্রাকৃতিক বনাঞ্চলের গাছ কাটার ওপর আরোপিত বিধিনিষেধ ২০৩০ সাল পর্যন্ত বলবৎ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

সোমবার (৩১ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ২০৩০ সাল পর্যন্ত রিজার্ভ ফরেস্টের গাছ (সংরক্ষিত বনের গাছ) কাটা যাবে না। সামাজিক বনায়নের গাছ এই আওতার বাইরে থাকবে। কারও ব্যক্তিগত, রাস্তার পাশে বা ডিপফরেস্টের আগে যে বাফার জোন থাকে—এগুলোতে সামাজিক বনায়ন হয়ে থাকে।

এই সময়সীমা ২০৩০ সাল পর্যন্ত কেন—জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা হলো একটা শিফট টাইম। সচরাচর ৫ বা ৭ বছরে হয়ে থাকে। এবার ৫ বছর না করে ৮ বছরের সীমা ঠিক করা হয়েছে। বর্তমানে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় নির্ধারিত রয়েছে। তাই ২০২৩ থেকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বাফার জোনে আকাশিয়া গাছ রোপণ করা হয়। কারণ এ গাছগুলো ১৫ বছর হলে কাটার উপযুক্ত হয়ে যায়। তাই ১৫ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এই গাছ কাটতে হয়। যারা এই গাছগুলো পরিচর্যা করেন তারা তারা গাছ বিক্রির অর্থের ৭০ শতাংশ পান আর ৩০ শতাংশ পায় বনবিভাগ।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, রিজার্ভ ফরেস্টের গাছ কোনও অবস্থাতেই ২০৩০ সালের আগে কাটা যাবে না। যদি কেউ কাটে তাহলে বন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।