ব্যাংকের আমানত নিয়ে গুজব বন্ধের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

ব্যাংকে তারল্যের (ক্যাশ টাকা) কোনও সংকট নেই। এরপরও এটা নিয়ে মানুষের মধ্যে যে গুজব ছড়ানো হচ্ছে সে ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংককে পরিষ্কার করে ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার (১৪ নভেম্বর) মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই নির্দেশনা দেন।

সোমবার (১৪ নভেম্বর) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক হয়। পরে দুপুর দেড়টার দিকে সচিবালয়ে ব্রিফিং করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ছবি: ফোকাস বাংলা)

উল্লেখ্য, ব্যাংকে তারল্য সংকট তৈরি হয়েছে এবং এ কারণে আমানত তুলে নেওয়া উচিত বলে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। রবিবার (১৩ নভেম্বর) এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংক দাবি করেছে, আমানত তুলে নেওয়ার জন্য ষড়যন্ত্রমূলক নানা খবর প্রচারিত হচ্ছে, যা সঠিক নয়। সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে বাংলাদেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থা অত্যন্ত সুদৃঢ় অবস্থায় রয়েছে। ব্যাংকিং ব্যবস্থায় তারল্যের কোনও সংকট নেই।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫১ বছরে দেশের কোনও ব্যাংক বন্ধ হয়নি। আশা করা যায়, ভবিষ্যতেও বাংলাদেশের কোনও ব্যাংক বন্ধ হবে না। ব্যাংকগুলোতে জনগণের আমানত সম্পূর্ণ নিরাপদ রয়েছে।

এই বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র জি এম আবুল কালাম আজাদ বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ব্যাংকের আমানতের টাকা নিয়ে গ্রাহকদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কোনও ব্যাংক আমানতের টাকা দিতে ব্যর্থ হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। গ্রাহকদের যেকোনও অভিযোগ ১৬২৩৬ নম্বরে কল করে জানালেই হবে। অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা তদন্ত করবো।

মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক (ছবি: ফোকাস বাংলা)

এদিকে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, আগামী বছর তিন কারণে অর্থনীতিতে সংকট দেখা দিতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে মন্ত্রিপরিষদ। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাব, করোনা পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ এবং চীনের পণ্য আসা কমে যাওয়ায় ২০২৩ সালে ক্রাইসিস দেখা দিতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করা হয়।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম

সংকট কাটাতে ছয় পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এগুলো হলো– খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে, বিদেশে দক্ষ শ্রমিক পাঠাতে হবে, রেমিট্যান্স বৃদ্ধির উদ্যোগ নিতে হবে, বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে হবে, খাদ্য মজুত ঠিক রাখতে হবে এবং খাদ্য আমদানিতে উৎসে কর বাদ দিয়ে আমদানিকারককে স্বস্তি দেওয়ার উদ্যোগ নিতে হবে।