গাইবান্ধা উপনির্বাচনে অনিয়মে জড়িতদের ‘দৃষ্টান্তমূলক’ শাস্তি হবে

গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে অনিয়মের সাথে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা। এক্ষেত্রে শাস্তি দৃষ্টান্তমূলক হবে বলেও জানান এই কমিশনার। এদিকে আসন্ন রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন গাইবান্ধা উপনির্বাচনের মতো দেখতে চান না বলে জানিয়েছেন রংপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিশনার রাশেদা সুলতানা।

মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে অনিয়মে বিস্তারিত তদন্ত প্রতিবেদন ইসির কাছে জমা পড়েছে উল্লেখ করে এই কমিশনার বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন পেয়েছি। তবে এটা নিয়ে আমরা কোনও আলোচনা করিনি। দু-একদিনের মধ্যে এটা নিয়ে বসবো। শিগগিরই এ বিষয়ে জানাবো। আশা করছি সামনের সপ্তাহে বিস্তারিত জানাতে পারবো। দুটো রিপোর্ট পর্যালোচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো। ঘটনার সাথে যাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু কী ব্যবস্থা হবে, কীভাবে নেওয়া হবে—এ বিষয়ে এখন কিছু বলা সম্ভব নয়। আলোচনা না করে এ বিষয়ে মন্তব্য করা সমীচীন হবে না। তবে শাস্তি দৃষ্টান্তমূলক হবে।

গাইবান্ধায় যে ঘটনা ঘটেছে সেটাকে বিচ্ছিন্ন উল্লেখ করে এই কমিশনার বলেন, যেটা ঘটে গেছে, গেছে। কিন্তু তারপর জেলা পরিষদ, পার্বতীপুর পৌরসভা ও ফরিদপুর উপনির্বাচন ভালো হয়েছে। কোথাও কোনও নেগেটিভ কথাবার্তা নেই। মাঠ প্রশাসন আমাদের সহযোগিতা করবে না—এই ধরনের কোনও বিষয় মনে হচ্ছে না। নির্বাচন ধারাবাহিকভাবে চলছে। মাঠপ্রশাসন ভালোই রেসপন্স করছে।

এক প্রশ্নের জবাবে রাশেদা সুলতানা বলেন, আমরা রংপুরে গাইবান্ধার মতো নির্বাচন চাই না। এ বিষয়ে রিটার্নিং অফিসারসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কখনই নির্বাচন কমিশন এ ধরনের নির্বাচন চায় না। আর এজন্য প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খল বাহিনীর সহযোগিতা লাগবে। নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা ছাড়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করাটা অসম্ভব ব্যাপার। নির্বাচনের আগে সেখানে গিয়ে এই বিষয়ে নির্দেশনা ও পরামর্শ প্রদান করা হবে।

রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি প্রিসাইডিং অফিসার ও সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারদের সাথে বৈঠক করবেন বলেও জানান এই কমিশনার।