খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনে জনগণকে সচেতন করতে হবে: ডেপুটি স্পিকার

খাদ্যাভ্যাসের প্রতি সচেতনতা সৃষ্টির আহ্বান জানিয়ে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু বলেছেন, ‘পুষ্টি বিকাশে আমাদের গবেষণার মাধ্যমে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। কোন সবজি,  ফল ও আমিষ কতটুকু গ্রহণ করতে হবে তা জানতে হবে। খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন ও সুষম খাদ্য গ্রহণে জনগণকে সচেতন করতে হবে।’

শুক্রবার কক্সবাজারের হোটেল সীগালে ‘ফিসক্যাল অ্যান্ড রেগুলেটরি মেকানিজম ফর প্রমোটিং হেলদি ডায়েটস ইন আরবান বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ডেপুটি স্পিকার এসব কথা বলেন। আইডিসিআরসির সহযোগিতায় এবং আর্ক ফাউন্ডেশন, সিএলপিএ ও ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে ডেপুটি স্পিকার আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণে সবজি, ফলমুল ও প্রাণিজ আমিষ উৎপাদিত হয়। এসব পণ্যের সঠিকভাবে সরবরাহ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারলে একদিকে জনগণের পুষ্টি চাহিদা অনেকাংশে পূরণ হবে, অন্যদিকে সুস্থ-সবল মানবসম্পদ তৈরি হবে। এর মাধ্যমে সরকারের স্বাস্থ্য খাতে বিপুল পরিমাণ অর্থ সাশ্রয় হবে।

‘সুষম খাদ্যাভ্যাস গড়তে পারলে মানুষ অনেক বেশি সুস্থ-সবলভাবে বেড়ে উঠবে, অসুস্থ কম হবে। এতে স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় কমে যাবে। এ জন্য উচ্চতর গবেষণা করে এর সুপারিশগুলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পৌঁছাতে হবে।’

ডেপুটি স্পিকার আরও বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সবুজ বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন। জাতির পিতা বলেছিলেন “আমার দেশের মাটি ও মানুষ থাকলে এ দেশকে দাবিয়ে রাখা যাবে না। যুদ্ধবিধ্বস্ত এ দেশ ঘুরে দাড়াবে।” বৈশ্বিক সংকটের পরও বাংলাদেশের কৃষি উৎপাদন অব্যাহত থাকায় দেশ ভেঙে পড়েনি, খাদ্য সংকটও তৈরি হয়নি।’

সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন– এমপি আহমেদ ফিরোজ কবির, এমপি ফখরুল ইমাম, এমপি মনোয়ার হোসেন চৌধুরী, এমপি আশোক উল্লাহ রফিক, এমপি বেগম খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসনে, এমপি নুরুল ইসলাম তালুকদার এবং কক্সবাজারের মেয়র মুজিবর রহমান।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিএলপিএ ট্রাস্টের উপদেষ্টা ডা. এএফএম সারোয়ার। মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. রোমানা হক। এ সময় অায়োজনকারী সংস্থাগুলোর গণ্যমান্য ব্যক্তি ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।