বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে শোষিত মানুষকে কেউ শোষণ করতে পারতো না: আইনমন্ত্রী

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেঁচে থাকলে শোষিত মানুষকে কেউ শোষণ করতে পারতো না। সে ব্যবস্থা তিনি করতেন।’

রবিবার (২৭ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে জাতীয় সংবিধান দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি এ সভার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল, তারা এবং তাদের বংশধররা চায় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের মানুষকে যে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, সেটা বাস্তবায়ন না হোক। তারা চায়, এ দেশের মানুষ আবার তাদের প্রজা হয়ে থাক।’

তিনি বলেন, ‘খুনিরা সামরিক শাসনের বোঝা চাপিয়ে দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে এ দেশের মানুষের মন থেকে মুছে ফেলতে চেয়েছিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘যে জিনিস রক্ত দিয়ে লেখা থাকে, যে জিনিস ভাগ করা যায় না, সেই জিনিস মুছে ফেলা যায় না। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক ও অবিচ্ছেদ্য। তাই এই দুটোকে যেমন বিচ্ছিন্ন করে ফেলা যাবে না, তেমনি ভোলাও যাবে না।’

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আবার গণতন্ত্রের পথে ফিরিয়ে এসেছে উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ বিনির্মাণে তিনি চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আমরা যদি সেই চেষ্টায় সহযোগিতা করি, তাহলে শুধু বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন পূরণ হবে না, সেই সোনার বাংলায় যে মানুষ থাকবে, তারাও উপকৃত হবেন।’ সে জন্য শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান তিনি।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. মমতাজ উদ্দিন ফকিরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান, বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এম. এনায়েতুর রহিম, অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন, সিনিয়র আইনজীবী  ইউসুফ হোসেন হুমায়ূন প্রমুখ সংবিধান নিয়ে বক্তৃতা করেন।