ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের সঙ্গে তথ্যমন্ত্রীর মতবিনিময়

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের সঙ্গে কপ-২৭ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি বিষয়ে মতবিনিময় করেছেন মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় ফোরামের সভাপতি কাওসার রহমান, সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক মাসুদ উল হক, সদস্য সাজু রহমান, হাবিব রহমান  প্রমুখ অংশ নেন।

পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক মির্জা শওকত আলী মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এ সময় ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলা করার জন্য আমরা যে বৈশ্বিক চুক্তিতে উপনীত হয়েছি, তা বাস্তবায়নে অগ্রগতি পর্যালোচনা, ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা তৈরি এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে একটা বৈশ্বিক ঐকমত্য তৈরি করার লক্ষ্যেই কপ সম্মেলনগুলো হয়। পরিবেশ পরিবর্তনজনিত ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ এর জন্য বিশেষ তহবিল গঠনের দাবি আমাদের বহুদিনের। শেষ পর্যন্ত প্যারিস অ্যাগ্রিমেন্টের ৮ নম্বর অনুচ্ছেদে এটিকে স্বীকার করে নেওয়া হলেও কোনও অগ্রগতি হচ্ছিল না। মিশরে কপ-২৭ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীসহ বিশ্বের প্রায় একশ’ রাষ্ট্রপ্রধান-সরকার প্রধানরা গিয়েছিলেন এবং এবারের অন্যতম অগ্রগতি হলো যে, বিশ্ব সম্প্রদায় ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ বিষয়টাকে গুরুত্ব দিয়েছে।’

মন্ত্রী জানান, কপ-২৭ সম্মেলনে অনেকেই কার্বন নিঃসরণ কমানোর জন্য আগের চেয়ে বেশি কমিটমেন্ট করেছে। আমাদের সরকারও ২০৪১ সালের মধ্যে মোট জ্বালানির ৪০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি অর্থাৎ সোলার, গ্রিনপাওয়ার, জলবিদ্যুৎ ব্যবহারের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এসবের জন্য একটা প্রতিযোগিতা তৈরি হয়েছে। এটি খুব ভালো দিক। ভাবনার বিষয় এত কিছুর পরও বিশ্বের তাপমাত্রা ১৮৮০ সালের ভিত্তি তাপমাত্রা থেকে ৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। এখন ১.১ ডিগ্রি বেড়েছে। আর তাতেই সার্বিয়া, অস্ট্রেলিয়া, আফ্রিকায় দাবানল, পাকিস্তানে যারা পানির সঙ্গে খুব বেশি পরিচিত নয়, সেখানে বন্যা দেখা যাচ্ছে।