বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে: স্পিকার

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ ও কিশোরী স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে সবাইকে নিয়ে কাজ করে যেতে হবে। কিশোরীরা তাদের কৈশোরকালীন উল্লেখযোগ্য সময় বিদ্যালয়গুলোতে অতিবাহিত করে। তাই কিশোরী স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিদ্যালয়ের অনুশাসন, শিক্ষকদের আন্তরিকতা এবং বিদ্যালয়ের স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে হবে। এ সময় তিনি বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে সবাইকে সচেতনভাবে এগিয়ে আসতে বলেন।

মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) গাজীপুরের কালীগঞ্জে রায়েরদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, উলুখোলা প্রাঙ্গণে বিএপিপিডি আয়োজিত ‘বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ ও কিশোরী স্বাস্থ্য সুরক্ষা’ শিরোনামে স্থানীয় পর্যায়ে পরামর্শমূলক কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন সংসদ সদস্য ড. মো. আব্দুস শহীদ, সংসদ সদস্য হাবিবে মিল্লাত। সংসদ সদস্য উম্মে কুলসুম স্মৃতি ও সংসদ সদস্য আদিবা আনজুম মিতা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ ও আন্তরিক পরিকল্পনার ফলে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মেয়েদের কাছে সর্বস্তরের শিক্ষা সহজগম্য হয়েছে। কিশোরীদের সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা দূর করতে পারলে তারাও যোগ্য নাগরিক হিসেবে জাতীয় উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারবে।

তিনি বলেন, বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ এবং কিশোরী স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সচেতনতা আনয়নের লক্ষ্যে সংসদ সদস্যরা নিজ নিজ এলাকার পাশাপাশি অন্যান্য এলাকাতেও এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত থেকে কাজ করে যাচ্ছেন, যার ইতিবাচক প্রভাব সারা দেশে পরিলক্ষিত হচ্ছে। এই কর্মশালায় যুক্ত ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য, অভিভাবক, শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের পরামর্শ, বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ এবং কিশোরী স্বাস্থ্য সুরক্ষায় যথাযথ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণে প্রকল্পটি সহায়ক হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন– সংসদ সচিবালয়ের যুগ্মসচিব এবং এসপিসিপিডি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক এম এ কামাল বিল্লাহ, জেলা পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন, উপ-প্রকল্প পরিচালক এ কে এম আব্দুর রহিম ভূইয়া, টেকনিক্যাল অফিসার খন্দকার জাকিউর রহমান প্রমুখ।