সংসদে অর্থমন্ত্রী

এই মুহূর্তে নতুন পে-স্কেল বা মহার্ঘ ভাতা নয়

সরকারি কর্মচারীদের জন্য নতুন পে-স্কেল বা মহার্ঘ ভাতা প্রদানের কোনও পরিকল্পনা এই মুহূর্তে নেই বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানের প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য জানান তিনি।

মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর পর্ব টেবিলে উত্থাপিত হয়।

মোকাব্বির খানের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকার ২০১৫ সালে জাতীয় বেতন স্কেল আদেশ জারি করে, যা বর্তমানেও বলবৎ রয়েছে। অতীতে বেতন স্কেল আদেশে সরকারি কর্মচারীদের প্রতিবছর নির্ধারিত পরিমাণে বেতন বৃদ্ধির সুবিধা ছিল। কিন্তু জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫-এ মূল বেতনের শতকরা হারে বেতন বৃদ্ধির বিধানের কারণে সরকারি কর্মচারীদের একটি নির্ধারিত হারে নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি ঘটে, যা সর্বস্তরের সরকারি কর্মচারীর জীবনমান উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রেখে আসছে। কিন্তু করোনা-পরবর্তী বৈশ্বিক মন্দা পরিস্থিতিতে বিশ্বে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ মূল্যস্ফীতি দেখা দিয়েছে, যার প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে সরকার নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে।

আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘বিরাজমান পরিস্থিতিতে সীমিত আয়ের মানুষের জীবনযাত্রার মান স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে সরকার ‘ফ্যামিলি কার্ডের’ মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি প্রদানের কার্যক্রম চালু করেছে। জনসাধারণের আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাস্তবমুখী পদক্ষেপ গ্রহণে সরকার সচেষ্ট আছে। এ পরিস্থিতিতে সরকারি কর্মচারীদের জন্য নতুন পে স্কেল বা মহার্ঘ ভাতা প্রদানের কোনও পরিকল্পনা এই মুহূর্তে নেই।’