ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে আগের মতো হয়রানির সুযোগ নেই: আইনমন্ত্রী

জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, স্থায়ীভাবে শতকরা ৩০ ভাগ পিপি ও জিপি নিয়োগ দেওয়া হবে। জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে এই নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালিত হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী।

বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের তৃতীয় দিনে জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি।

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বাকি ৭০ ভাগ নিয়োগ হবে রাজনৈতিকভাবে। এ ছাড়া পিপি-জিপিদের বেতন বাড়ানো হচ্ছে। এ জন্য ২৬৭ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে।’ তবে কবে নাগাদ স্থায়ী নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হবে বা বেতন-ভাতা বাড়ানো হবে, এর সুনির্দিষ্ট সময় বলেননি তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে আগের মতো হয়রানির সুযোগ নেই। সেলের মাধ্যমে যাচাই করে এখন ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কিছু বিষয় সংশোধন করার জন্য কমিটি করা হয়েছে। কমিটি প্রয়োজনে সংশোধনের উদ্যোগ নেবে।’

আইনমন্ত্রী জানান, ডেটা সুরক্ষা আইন অংশীজনের মতামত নিয়ে করা হচ্ছে। ডেটার নিরাপত্তার বিষয়ে আইনটি করা হচ্ছে।

এ ছাড়া মামলা জট কমানোর জন্য জেলা প্রশাসকদের বলা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ তাদের কাছে তুলে ধরা হয়েছে বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, গত ২৪ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) তিন দিনব্যাপী বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। সম্মেলনে উপস্থিত আছেন ৬৪ জেলার ডিসি ও আট বিভাগীয় কমিশনার। সম্মেলনের বিভিন্ন সেশনে উপস্থিত হয়েছেন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, সংশ্লিষ্ট সচিব। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বর্তমান ডিসিদের এটা শেষ সম্মেলন।