বেলজিয়ামের রানির সফর রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সহায়ক হবে: তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বেলজিয়ামের রানির বাংলাদেশ সফর রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সহায়ক হবে। এই সফর বিশ্ব সম্প্রদায়ের সাড়া পেতেও সহায়ক হবে। তার এই সফর বাংলাদেশ-বেলজিয়ামের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রেও  ভূমিকা রাখবে।’

তিন দিনের বাংলাদেশ সফরের দ্বিতীয় দিন বেলজিয়ামের রানি মাতিলদ মেরি ক্রিস্টিন জিলেইন মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যান। এ সময় হাছান মাহমুদ মিনিস্টার ইন ওয়েটিং হিসেবে রাষ্ট্রাচার দায়িত্ব পালনে তার সঙ্গে ছিলেন। পরে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, ‘বেলজিয়ামের রানি মূলত জাতিসংঘের বিশেষ দূত হিসেবে এসেছেন। এসডিজি বিষয়ক বিশেষ দূত হিসেবে তিনি রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন। তার এই সফর বাংলাদেশ ও বেলজিয়ামের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে যেমন ভূমিকা রাখবে, তেমনি জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গাদের যে বাংলাদেশ সরকার দেখভাল করছে, এ বিষয়ে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সাড়া পেতেও সহায়ক হবে বলে আমি মনে করি।’

ড. হাছান বলেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান হচ্ছে সসম্মানে তাদের দেশে ফেরত নেওয়া। আমি মনে করি রানির এই সফর তাদের ফেরত নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।’

এদিন কক্সবাজারের উখিয়ায় ৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে উপস্থিত রানি মাতিলদ সেখানকার শিক্ষাকেন্দ্র, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্র, রোহিঙ্গা ওমেন মার্কেট এবং বেলজিয়ামের অর্থায়নে নির্মিত নার্সারি ও ইকো-শেড পরিদর্শন করেন ও রোহিঙ্গা নারীদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে রানি ক্যাম্পের বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ নানা কার্যক্রম ঘুরে দেখেন ও বিভিন্ন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন।