বাংলাদেশ ব্যাংকে রিজার্ভ চুরি: দুই দেশের প্রতিবেদনের অপেক্ষায় সিআইডি

বাংলাদেশ ব্যাংকে রিজার্ভ চুরির ঘটনা মতিঝিল থানায় দায়ের করা মামলায় চার্জশিট জমা দেওয়া হয়নি এখনও। কবে তা জমা দেওয়া হতে পারে, এই প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, মামলাটি তদন্ত করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তবে ওই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট দুই দেশের তদন্ত রিপোর্ট এখনও পায়নি তদন্তকারী সংস্থা। এজন্য মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে অপেক্ষা করছে তারা। ওই দুই দেশের অপিনিয়ন আসলেই চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১টার দিকে সিআইডির সদর দফতরে এক অনুষ্ঠান শেষ বের হওয়ার সময় তিনি এই কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, মামলাটি সিআইডিতে তদন্তাধীন রয়েছে। এজন্য আমরা জোর গলায় বলতে পারবো না যে কে কত টাকা নিয়েছে, কী করেছে। এটা তদন্তের পরেই জানতে পারবো।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশিরা অবৈধভাবে টাকা পাচার করে সম্পাদ গড়েছেন বলে গত কয়েক বছর ধরেই শোনা যাচ্ছে। এবিষয়ে সরকার টাকা ফেরত আনা কিংবা তাদের শনাক্ত করার বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছে কিনা জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শনাক্তকরণের প্রক্রিয়া কিন্তু চালু রয়েছে, এটা বন্ধ নেই। যারাই অবৈধভাবে বিদেশে টাকা পাচার করছে, আমরা তাদের শনাক্ত করছি।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে সুইফট কোডের মাধ্যমে ২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রায় ১০১ মিলিয়ন ডলার হাতিয়ে নেয় হ্যাকাররা। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক জোবায়ের বিন হুদা মানি লন্ডারিং আইনে ১০১ মিলিয়ন ডলার চুরির অভিযোগ এনে ওই বছরের ১৫ মার্চ মতিঝিল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। শুরু থেকেই মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় সিআইডিকে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির তদন্ত সিআইডি আজও শেষ করতে পারেনি।