চট্টগ্রাম-গোথেনবার্গ বন্দরের মধ্যে সরাসরি জাহাজ চলাচল হতে পারে

স্ক্যান্ডেনেভিয়ান অঞ্চলের পাঁচটি দেশের সঙ্গে সরাসরি জাহাজ যোগাযোগ নেই বাংলাদেশের। এরফলে ওই অঞ্চলের প্রায় তিন কোটি ভোক্তার কাছে পণ্য পাঠানো এবং ওই অঞ্চল থেকে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে তৃতীয় বন্দর ব্যবহার করতে হয়। এই অসুবিধা দূর করার জন্য সরাসরি জাহাজ চলাচল করার বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে সুইডেনের গোথেনবার্গ বন্দরের আলোচনা চলছে। এই আলোচনা সফল হলে ওই অঞ্চল থেকে পণ্য আমদানি যেমন সহজ হবে তেমনি পণ্য প্রেরণ করার ক্ষেত্রে সুবিধা পাওয়া যাবে।

এ বিষয়ে সুইডেনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেহদি হাসান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, গত ২৪ জানুয়ারি এ বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করি আমরা। বৈঠকে সরকারের প্রতিনিধির পাশাপাশি বেসরকারি ব্যবসায়ী প্রতিনিধি যেমন বিজিএমই, ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার, জাহাজ মালিকদের প্রতিনিধি, শিপারস কাউন্সিলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সুইডেনের পক্ষ থেকে গোথেনবার্গ পোর্টের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা ছিলেন।

তিনি বলেন, বৈঠকে সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিনিধিরা একমত হয়েছি যে—এটি করা হলে ওই অঞ্চলের সঙ্গে বাণিজ্য সহজ হবে। আমরা বেসরকারি খাতকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম কারণ তারাই বাণিজ্য করবে এবং তাদের মতামত গুরুত্বপূর্ণ।

স্ক্যান্ডেনেভিয়ান অঞ্চলের পাঁচটি দেশের মাথাপিছু আয় অনেক বেশি এবং এখানে বাংলাদেশে উৎপাদিত হয় এমন পণ্যের চাহিদা আছে এবং নতুন চাহিদা সৃষ্টি করা সম্ভব। এক্ষেত্রে এই বাজার সম্পর্কে আগ্রহী হওয়ার জন্য বেসরকারি খাতকে আমরা উৎসাহিত করছি বলে তিনি জানান।

তিনি বলেন, গোথেনবার্গ ওই অঞ্চলের একমাত্র গভীর সমুদ্র বন্দর এবং যেকোনও জাহাজ সেখানে নোঙর করতে পারে। এরফলে সেখানকার পাঁচটি দেশের সঙ্গে বাণিজ্য যোগাযোগ বাড়ানো সম্ভব।

উল্লেখ্য, পাঁচটি দেশ হচ্ছে নরওয়ে, ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড, সুইডেন এবং স্ক্যান্ডেনেভিয়া।