বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের প্রতি আহ্বান

বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য লন্ডনে রেমিট্যান্স মেলার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ হাই কমিশন। মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) প্রথবারের মতো রেমিট্যান্স মেলায় ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের প্রতি বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।

হাই কমিশন থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘বাংলাদেশে প্রবাসীদের প্রেরিত অর্থ সুরক্ষিত থাকবে এবং এই অর্থ থেকে সরকারি প্রণোদনাসহ সঞ্চয় ও বিনিয়োগের মাধ্যমে অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি মুনাফা অর্জনের সুযোগ রয়েছে।’

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে অর্থ পাঠানো ঝুঁকিপূর্ণ বলে কোনও কোনও মহল বিভিন্ন মাধ্যমে ভিত্তিহীন অপপ্রচার চালাচ্ছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি বর্তমানে কোনও ঝুঁকির মধ্যে নেই। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের অর্থনীতির স্থিতিশীলতা উল্লেখ করে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের ৩১তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে বলে মন্তব্য করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করোনা এবং যুদ্ধ পরিস্থিতি মোকাবিলা করে বাংলাদেশ এখনও বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ হিসেবে তার অবস্থান বজায় রেখেছে।’

চ্যারিটি প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাংলাদেশে রেজিস্ট্রেশন করে বৈধ পথে যুক্তরাজ্য থেকে অর্থ প্রেরণের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে যুক্তরাজ্য বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রেরণকারী দেশগুলোর মধ্যে চতুর্থ। ব্রিটিশ-বাংলাদেশিরা বৈধ উপায়ে আরও বেশি অর্থ দেশে পাঠালে এই অবস্থান ভবিষ্যতে উন্নীত হতে পারে।’

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে যুক্তরাজ্যে সোনালী ব্যাংক চালু করেছিলেন। তারই ভিত্তিতে পরবর্তীতে যুক্তরাজ্য থেকে বৈধ পথে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর সূচনা হয়।’