রাজাকারদের প্রতিষ্ঠিত করেছে জিয়া, এরশাদ, খালেদা: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির অধিকারের জন্য মানুষকে একত্রিত করে স্বাধীন স্বার্বভৌম একটি দেশ দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু একটি সুখি, সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল বলেই আপামর বাঙালি বেনিফিশিয়ারি হয়েছিল। আমরা একটি জাতিস্বত্তার পরিচয় পেয়েছিলাম। তবে পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বেনিফিশিয়ারি হয়েছিল স্বাধীনতাবিরোধী, রাজাকার-আলবদর-আল শামসরা। আজ জাতীয় রাজনীতিতে বক্তব্য দেন মির্জা ফখরুলরা। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা না করলে এসব পরিবারের জাতীয় পর্যায়ে আসার কোনও সুযোগ ছিল না। জাতীয় পর্যায়ে আসতো মুক্তিযোদ্ধারা, মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানেরা। মুক্তিযোদ্ধাদের পেছনে ফেলে দিয়ে রাজাকারদের প্রতিষ্ঠিত করেছে জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া। সেই জায়গায় বাংলাদেশ আর কখনও ফিরে যাবে না।

সোমবার (২৭ মার্চ) রাজধানীর মতিঝিলে বিআইডব্লিউটিএ অফিসে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, যেখানে স্বাধীনতার সুখ থাকবে এবং স্বাধীনতার সুখ প্রতিষ্ঠার জন্য বঙ্গববন্ধু সাড়ে তিন বছরে দেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন। ঠিক তখনি শুরু হয় ষড়যন্ত্র। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের নোবেল বিজয়ীদের মন্তব্য ছিল- বাংলাদেশ একটি ডেথ কেস। বাংলাদেশের কোনও সম্ভাবনা নাই। বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ো না; বরং অন্য দেশের দিকে তাকাও যাদের সম্ভাবনা আছে। সামাজিক সংস্থাগুলোকে আহ্বান জানানো হয়েছিল বাংলাদেশের দিকে না তাকাতে। এসব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে দরিদ্র রাষ্ট্র বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশে উত্তীর্ণ  করেন। তখনি বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। আমরা স্বাধীনতার স্বাদ পাইনি; স্বাধীনতার সুখ পাইনি।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠান

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম এবং নাসির উদ্দিন ইউসুফ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব দেলোয়ারা বেগম, স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আলমগীর, নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমডোর নিজামুল হক, বিআইডব্লিউটিসি'র চেয়ারম্যান এস এম ফেরদৌস আলম এবং বিআইডব্লিউটিএ'র চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করেছি। আমরা যখনি সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করেছি তখনি আমাদের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করা হচ্ছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু অস্থায়ী সরকারের (প্রথম সরকার) রাষ্ট্রপতি ও তাজউদ্দীন আহমেদ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। এ সরকারের অধীনে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়েছে। সেক্টর কমান্ডাররা এ সরকারের অধীনে যুদ্ধ পরিচালনা করেছে। এগুলো নির্ধারিত বিষয়। এগুলো নিয়ে কোনও বির্তক নয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, স্বাধিকার, মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব নিয়ে কোনও বির্তক চলবে না। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন বলেই পাকিস্তানিরা তাকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছিল। এই জায়গাটায় যারা বির্তক করতে চায় তাদের সঙ্গে কোনও আপস নয়।