‘বঙ্গবন্ধু, গান্ধী, রবীন্দ্রনাথ যখন যাকে দরকার তুলে এনেছে ভারত বিচিত্রা’

সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, বঙ্গবন্ধু, গান্ধী, রবীন্দ্রনাথ- যখন যাকে তুলে আনা দরকার তখন তাকে তুলে এনেছে ভারত বিচিত্রা। ভারতের সঙ্গে আমাদের হাজার বছরের ইতিহাসের সম্পর্ক। একটি রক্তের বন্ধন। একটি দেশের মানুষ আরেকটি দেশের জন্য তাদের মাটিতে রক্ত ঝরিয়েছে। এই বন্ধন কখনও ছিণ্ন হবে না বলে মনে করি।

বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) রাজধানীর বারিধারায় ভারতীয় হাইকমিশন ভবনে ভারত বিচিত্রা’র একটি বিশেষ সংস্করণের মোড়ক উন্মোচনের পর পত্রিকাটির সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

আসাদুজ্জামান নূর আরও বলেন, ‘ভারত বিচিত্রা ভারতের অন্য রাজ্যের অনুবাদ সাহিত্যও ছাপে। আমরা এতে সমগ্র ভারতের সাহিত্যের সঙ্গে পরিচিতি হতে পারি। ভারত বিচিত্রার সংখ্যাগুলো যদি বাংলাদেশের সব লাইব্রেরিতে পাঠানো যায়, তাহলে দুই দেশের সাংস্কৃতিক বিনিয়ম আরও দৃঢ় হবে।’

অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমির চেয়ারম্যান ও কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, ‘একটা পত্রিকা নিয়ে আয়োজন বিভিন্ন প্রজন্মের কাছে দিগন্ত উন্মোচন করছে। পশ্চিমবাংলাসহ ভারতের লেখকদের লেখা আমরা এক মলাটে পাই। এই দীপশিখা থাকলে আমাদের লেখকদের সংযোগ আরও বাড়বে।’

এ সময় ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, ‘ভারত বিচিত্রা দুই দেশের বন্ধুত্বের সেতু হিসেবে কাজ করছে। দুই দেশের ইতিহাস, সমাজ, সংস্কৃতিকে তুলে ধরছে। ৫০ বছর ধরে দুই দেশের হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ককে ধারণ করছে।’

এ সময় তিনি মুক্তিযুদ্ধ ও দুই দেশের রক্তের সম্পর্ককে স্মরণ করেন। বাংলাদেশকে জি-২০ সম্মেলনে বিশেষ গেস্ট দেশ হিসেবে সঙ্গে রাখার কথাও উল্লেখ করেন ভারতীয় হাইকমিশনার।

আয়োজনে কবিতা পাঠ করেন বাংলা একাডেমি পুরস্কাপ্রাপ্ত কবি অসীম সাহা, ঝরনা রহমান ও ফারুক মাহমুদ।

বক্তব্য পর্ব শেষে মঞ্চে আনুষ্ঠানিকভাবে মাসিক ভারত বিচিত্রা পত্রিকার সুবর্ণজয়ন্তী সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন করেন আমন্ত্রিত অতিথিরা।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান, কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন, কবি নুরুল হুদা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক, কবি টোকন ঠাকুর, ভারত বিচিত্রার সাবেক সম্পাদক নান্টু রায়সহ অনেকে।