প্রথম আলো আওয়ামী লীগের শত্রু: প্রধানমন্ত্রী

স্বাধীনতা দিবসে দৈনিক প্রথম আলোতে প্রকাশিত একটি খবরের প্রতি ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘একটা ছোট্ট শিশুর হাতে ১০টা টাকা দিয়ে একটা মিথ্যা বলানো, শিশুর মুখ থেকে কিছু কথা বলানো, কী কথা! ভাত-মাছ-মাংসের স্বাধীনতা চাই। একটা সাত বছরের শিশু। তার হাতে ১০টা টাকা তুলে দেওয়া এবং তার কথা রেকর্ড করে সেটা প্রচার করে স্বনামধন্য এক পত্রিকা খুবই পপুলার, নাম তার প্রথম আলো, কিন্তু বাস করে অন্ধকারে। তিনি বলেন, ‘প্রথম আলো আওয়ামী লীগের শত্রু। প্রথম আলো গণতন্ত্রের শত্রু। প্রথম আলো দেশের মানুষের শত্রু (এ সময়ে সংসদে ‘সেম সেম’ শব্দ শোনা যায়)। আমি এটা অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলি যে, এরা এই দেশে কখনোই স্থিতিশীলতা থাকতে দিতে চায় না।’

সোমবার (১০ এপ্রিল) জাতীয় সংসদে সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আনা ১৪৭ বিধির সাধারণ প্রস্তাব ও অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রথম আলো, ডেইলি স্টার ও ড. ইউনুস প্রসঙ্গ

ওয়ান-ইলেভেনে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের ভূমিকার সমালোচনার করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০০৭ সালে যখন ইমারজেন্সি হয়, তখন তারা উৎফুল্ল। দুটি পত্রিকা আদাজল খেয়ে নেমে গেলো। বাহবা কুড়ালো। আর তার সঙ্গে আছে একজন সুদখোর, বড়ই প্রিয় আমেরকার। আমেরিকা একবারও জিজ্ঞাস করে না যে, একটা ব্যাংক, গ্রামীণ ব্যাংক— এটা তো একটা সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান। সরকারের বেতন তুলতো যে এমডি, সে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার কোথা থেকে পেলো যে, আমেরিকার মতো জায়গায় সামাজিক ব্যবসা করে, বিনিয়োগ করে দেশে-বিদেশে। এই অর্থ কোথা থেকে আসে? এটা কি জিজ্ঞাসা করেছে কখনও তারা? জিজ্ঞাস করেনি।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘এদের কাছ থেকে দুর্নীতির কথা শুনতে হয়। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিহাদ। এদের কাছ থেকে মানবাধিকারের কথা শুনতে হয়।যারা গরিবের রক্তচোষা টাকা পাচার করে বিদেশে বিনিয়োগ করে নিজেরা শতকোটি টাকা মালিক হয়, আবার আন্তর্জাতিক পুরস্কারও পেয়ে যায়। এ সব লোক এ দেশে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার চেষ্টা করে। মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলে। আওয়ামী লীগ সরকার এসে কিছুই নাকি দেয়নি।দেশ নাকি ধ্বংস হয়ে গেছে।’