ইউনেস্কোতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেলো ‘মিউজিক ক্রসরোডস’  

‘ইউনেস্কো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ ইন ক্রিয়েটিভ ইকোনমি পুরস্কার’ পেয়েছে জিম্বাবুয়ের প্রতিষ্ঠান মিউজিক ক্রসরোডস। বাংলাদেশ সময় বুধবার (৭ জুন) প্যারিসে ইউনেস্কো সদর দফতরে এক জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বিজয়ী প্রতিষ্ঠান ‘মিউজিক ক্রসরোডস’-এর প্রতিনিধি মেলোডি যাম্বুকোর হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন। এ সময় ইউনেস্কোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং স্থায়ী প্রতিনিধি খন্দকার এম তালহা বিজয়ীকে সনদপত্র প্রদান করেন।

বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক বহিঃপ্রকাশ সংক্রান্ত ‘ইউনেস্কো ২০০৫ কনভেনশন’-এর সাধারণ পরিষদের সভার উদ্বোধনী দিনের কার্যসূচির শেষে আয়োজিত পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ও বিজয়ী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ছাড়াও ইউনেস্কোর সংস্কৃতি বিষয়ক শীর্ষ কর্মকর্তা ও সহকারী মহাপরিচালক আর্নেস্তো অতোনে-সহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, ইউনেস্কোতে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধির পাশাপাশি সাধারণ পরিষদে যোগদানকারী বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি, প্রবাসী বাংলাদেশি এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

ফ্রান্সে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে বৃহস্পতিবার (৮ জুন) পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়—২০২০ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ফ্রান্সে বাংলাদেশের দূতাবাসের কূটনৈতিক উদ্যোগে এবং সব সদস্য রাষ্ট্রের সম্মতিক্রমে এই পুরস্কার প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পরবর্তী সময়ে ২০২১ সালে ইউনেস্কো সদর দফতরে অনুরূপ একটি আয়োজনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা প্রথম বিজয়ী প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার তুলে দেন। দ্বিবর্ষভিত্তিক এই পুরস্কারের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা উদ্ভাবনী সাংস্কৃতিক উদ্যোগগুলোকে উৎসাহিত করা হয়।

এই পুরস্কার প্রদানের ফলে বাংলাদেশের জাতির পিতার অর্থনৈতিক মুক্তির দর্শনকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব হবে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সহকারী মহাপরিচালক আর্নেস্তো অতোনে তার শুভেচ্ছা বক্তব্যে এই পুরস্কার প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন এবং বিশ্ব অর্থনীতির উন্নয়নে উদ্ভাবনী চর্চার গুরুত্ব তুলে ধরেন।

বিচারকমণ্ডলীর সভাপতি ইলান স্টিফেনস জানান, এ বছর বিশ্বের ১৯টি দেশ থেকে পুরস্কারের বিবেচনার জন্য মোট ৮৪টি প্রতিষ্ঠানের আবেদন জমা পড়ে। তবে বিজয়ী প্রতিষ্ঠানকে তাদের উদ্ভাবনী চর্চা ও আন্তসাংস্কৃতিক সংযোগ স্থাপনে নারী ও তরুণদের সম্পৃক্ত করার জন্য পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে বলে তিনি জানান।