দেশবিরোধী-মিথ্যা সংবাদ প্রচার হলে সেসব অনলাইন বন্ধে পদক্ষেপ: তথ্যমন্ত্রী

কোনও অনলাইন সংবাদপত্র বা অনলাইনভিত্তিক পোর্টালে দেশবিরোধী সংবাদ প্রচার বা মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রচারের অভিযোগ পাওয়া গেলে তা বন্ধের পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) জাতীয় সংসদে আহসানুল ইসলাম টিটোর এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন ড. হাছান মাহমুদ। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিকালে সংসদের বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপন করা হয়।

স্বাধীনভাবে সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে বর্তমান সরকার গণমাধ্যমে কোনও রকম হস্তক্ষেপ করছে না বলে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সংবাদপত্র ও সাংবাদিকবান্ধব বর্তমান সরকার সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায় খুবই আন্তরিক। প্রিন্ট মিডিয়ায় স্বাধীনভাবে সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে এ সরকার কোনও রকম হস্তক্ষেপ করছে না এবং এই সেক্টরের মানোন্নয়নে নানামুখী কার্যক্রম গ্রহণ অব্যাহত রেখেছে।

জাতীয় পার্টির সৈয়দ আবু হোসেনের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী জানান, সরকার অনুমোদিত ১৮৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টালের মধ্যে ১৭৯টি অনলাইন নিউজপোর্টাল এবং ১৭৭টি দৈনিক পত্রিকার অনলাইন পোর্টালের মধ্যে ১৫৫টি নিউজ পোর্টালকে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। একই সময়ে ১৫টির মধ্যে ১৪টি টিভি চ্যানেলের অনলাইন পোর্টালকে নিবন্ধন সনদ দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে ২০১৫-১৬ অর্থবছর থেকে ২০২৩ সালের মে পর্যন্ত সারা দেশে অসুস্থ, অসচ্ছল ও দুর্ঘটনায় আহত ও মৃত ৩ হাজার ২৩৯ জন সাংবাদিক ও পরিবারের সদস্যদের মাঝে ২৮ কোটি ৭৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রী জানান। এ ছাড়া করোনাকালীন বিশেষ সহায়তা হিসেবে ৯ হাজার ৪৩৩ জন সাংবাদিক ও পরিবারের মাঝে ৯ কোটি ৪৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে।

সরকারি দলের আহসানুল ইসলাম টিটোর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, কোনও সংবাদপত্র বা অনলাইনভিত্তিক পোর্টালে দেশবিরোধী সংবাদ প্রচার বা মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রচারের অভিযোগ পাওয়া গেলে তা বন্ধের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

নজরুল ইসলাম বাবুর প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, গণমাধ্যমবান্ধব সরকারের উদার সম্প্রচার নীতিমালার কারণে বর্তমান সরকার বেসরকারি খাতে ৪৮টি টেলিভিশন চ্যানেল, ১৪টি আইপি টিভি এবং ৩৬৭টি নিউজ পোর্টালের অনুমতি দিয়েছে।

তথ্যমন্ত্রী জানান, অনলাইন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত ভুয়া বা বিকৃত খবর ও গুজব ঠেকাতে একটি কমিটি গঠন করেছে তথ্য অধিদফতর।