বিদ্যুতের সমস্যা আস্তে আস্তে কেটে যাবে, একটু সহনশীল হতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

খুব সুন্দর বৃষ্টি হচ্ছে, ঠান্ডা বাতাস পাওয়া যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, হ্যাঁ, একটু বিদ্যুতের সমস্যা ছিল। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছিলাম। সেই সমস্যাটাও আস্তে আস্তে কেটে যাবে। একটু তো সহনশীল হতে হবে। আজ ১৭ কোটি মানুষের সবার ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। যেখানে মাত্র ৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ছিল, সেখানে ২৫ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করেছি।

বুধবার (২১ জুন) বেলা সোয়া ১২টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এই সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়। শুরুতেই সাম্প্রতিক সুইজারল্যান্ড ও কাতার সফর নিয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তিনি। পরে প্রধানমন্ত্রী চলমান বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন।

জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তেলের দাম বাড়লো, এলএমজির দাম বাড়লো, সব কিছুর দাম বাড়লো। কয়লার দাম বেড়ে গেলো। পাওয়া যাচ্ছে না। যেখানে হাত দেই, সব কেনা হয়ে গেছে। কাতারের সঙ্গে আমরা আবার নতুন করে চুক্তি করতে হলো। তাদের গ্যাসের অন্যান্য দেশে বিরাট চাহিদা। তারপরও আমি কাতারের আমিরকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা যেভাবে চেয়েছি, ঠিক সেভাবে দিয়েছে। আমরা একটা দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি করতে পেরেছি। কিন্তু এই বিলগুলো দিতে তো হবে আমাদের। সারা বিশ্বব্যাপী এই মন্দার ভেতর দিয়ে যাচ্ছে।

করোনার সময় প্রণোদনা দেওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সে সমস্য ব্যবসায়ীদের জন্য সব ধরনের প্রণোদনা দিয়েছি। গ্রামের মানুষ যাতে কষ্ট না পায়, সেটা দেখেছি। এখন ঈদ উপলক্ষে ১ কোটি মানুষকে বিনা পয়সায় খাবার দিবো, এটা আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বর্ষাকালে আমাদের মানুষের একটু কষ্ট হয়। সেই সময় যাতে কষ্ট না হয়, সেই ব্যবস্থা নিচ্ছি। টিসিবি থেকে আমরা কার্ড দিচ্ছি। এখন আমরা সবাইকে ডিজিটাল কার্ড দিয়ে দিবো। সেই কার্ড দিয়ে যেন তারা টাকা তুলতে পারে।