বাংলাদেশ বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার যোগ্যতা অর্জন করেছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা সরকারে আসার পর রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়ন করেছি। এ কারণে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করতে পেরেছি। কারণ, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করে। যে কারণে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। 

বুধবার (১৯ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর এবং শুদ্ধাচার পুরস্কার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের প্রধান হিসেবে আমার সঙ্গে যেন যোগাযোগ থাকে প্রতিটা মন্ত্রণালয়ের। আপনারা (সচিব) যারা মন্ত্রণালয়ে কাজ করেন, আপনাদের সঙ্গে যারা কাজ করে, তাদের সঙ্গে যেন আপনাদের যোগাযোগ থাকে এবং প্রতিটা কাজের যেন সুষ্ঠু পরিকল্পনা থাকে। কাজ বাস্তবায়নের চিত্রও যেন উঠে আসে। সেই চিন্তা থেকেই বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি পদ্ধতিটা গ্রহণ করেছি। আপনারা (সচিব) অনেক পরিশ্রম করছেন, তার ফল পাচ্ছেন। আপনারা যেখানেই যাচ্ছেন, মাথা উঁচু করে চলতে পারছেন।

সংবিধান অনুযায়ী জনপ্রশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমরা সরকারি কর্মসম্পাদন পদ্ধতি চালু করি। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা দশবারের মতো বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর করি।

সচিবদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জবাবদিহি এবং দুর্নীতিকে দূরে ঠেলে দিয়ে আত্মসম্মানবোধ এবং কাজের প্রতি আন্তরিকতা, এই নিয়ে এগিয়ে যেতে পারলে যেকোনও কঠিন অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটানো যায়, যেকোনও অসাধ্য সাধন করা যায়।

তিনি বলেন, আমরা সরকারে আসার পর রূপকল্প ২০২১ ঘোষণা করেছিলাম। সেটা সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে বাস্তবায়ন করার পর আজ আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করতে পেরেছি। যেটা লক্ষ্য স্থির করেছি, সেটা অর্জন করেছি। খুব কম দেশই এমনটা করতে পারে। একটা দেশকে সেই উন্নয়নের গতিতে নিয়ে যাওয়া একটা কঠিন কাজ। সেটা আপনারা নৈতিকতার সঙ্গে করতে পেরেছেন বলেই আমরা মর্যাদা অর্জন করতে পেরেছি। এ সময় তিনি সরকারি কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানান।

আমাদের ভৌগোলিক সীমাবদ্ধতা আছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের জনসংখ্যাও অনেক বেশি। আত্মসম্মান ও আত্মমর্যাদা নিয়ে এগিয়ে গেলে অসাধ্য সাধন করা যায়। আমাদের লক্ষ্য ২০৪১-এর মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়া। সে লক্ষ্যেই এখন এগিয়ে যেতে হবে।

তৃণমূল মানুষের অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, দেশে এখন আর মঙ্গার চিত্র দেখা যায় না। যোগাযোগের ক্ষেত্রে আমরা উন্নতি করেছি। মানুষের জীবনমান উন্নত করাই আমাদের লক্ষ্য।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালে বলেছিলাম ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলবো, তা সফল করেছি। শতভাগ বিদ্যুতায়নের কথা বলেছি, তা করেছি। ২০২৬ সাল থেকে উন্নয়নশীল দেশের বাস্তবায়ন শুরু হবে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়েছে, অর্থনীতির ওপর চাপ পড়েছে। তবু অন্যান্য দেশের চেয়ে আমাদের অর্থনীতি গতিশীল রয়েছে।