৩২ নম্বরের সেই বাড়িতে স্বজনদের জন্য দোয়া করলেন প্রধানমন্ত্রী

ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে অবস্থিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত ঐতিহাসিক বাড়ি এখন বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর। ওই বাড়িতেই বাবা-মা ও স্বজনদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা।

মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) বিকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে মহিলা লীগের মিলাদ মাহফিলে অংশ নিয়ে দোয়া করেন তারা।366761043_152363127897664_3483587936546379246_n

মহিলা লীগের মিলাদ মাহফিলে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেত্রীদের পাশাপাশি বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। তারা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সঙ্গে মোনাজাত করেন এবং পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টে নিহতদের জন্য দোয়া করেন।

এর আগে সকালে দিবসটি উপলক্ষে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে দলের নেতাদের নিয়ে শ্রদ্ধা জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এ সময় বঙ্গবন্ধুর ছোট কন্যা শেখ রেহানাও উপস্থিত ছিলেন।

পরে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এ সময় তার ছোট বোন শেখ রেহানাসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

নিহতদের কবরে শ্রদ্ধা জানানোর পর ফাতেহা পাঠ, মোনাজাত ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টের নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা করা হয়।

বেলা ১২টার দিকে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় বঙ্গবন্ধুর ছোট কন্যা শেখ রেহানা উপস্থিত ছিলেন। তারা বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করার সময় তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার দেন। বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর।

বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির দোয়ার আয়োজন

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন আজ বঙ্গভবনের দরবার হলে জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেন।দোয়া মাহফিলে অংশ নেন রাষ্ট্রপতি, তাঁর পরিবারের সদস্যরাসহ বঙ্গভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

দোয়া মাহফিলে যোগদানের আগে দরবার হলে আসরের নামাজ আদায় করেন রাষ্ট্রপ্রধান।

আসরের নামাজের আগে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আসর বাদ এক মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নির্মম রাতে মৃত্যুবরণকারী বঙ্গবন্ধু ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

বাংলাদেশের পাশাপাশি বিশ্ব ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া করা হয়।

মিলাদ মাহফিল ও মোনাজাতে রাষ্ট্রপতির পরিবারের সদস্য, সংশ্লিষ্ট সচিবরা, বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তা ও রাষ্ট্রপতি ভবনের কর্মচারীরা অংশ নেন।