বাংলাদেশে হালাল মাংস রফতানি করতে চায় মেক্সিকোর ব্যবসায়ীরা

মেক্সিকোর ব্যবসায়ী মহল বাংলাদেশে হালাল মাংস রফতানির পাশাপাশি দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে যোগাযোগ বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

মেক্সিকো সিটিতে বাংলাদেশ দূতাবাস এবং ইবারো আমেরিকানা ইউনিভার্সিটির যৌথ উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত "অর্থনৈতিক সম্ভাবনা উন্মোচন: বাংলাদেশ ও মেক্সিকোর সেতুবন্ধন সৃষ্টি" শীর্ষক সেমিনারে তারা এই আগ্রহ প্রকাশ করেন।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আব্দুর রহিম খান, বৈদেশিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি বিষয়ক মেক্সিকান বিজনেস কাউন্সিল (সিওএমসিই)-এর এশিয়া ও ওশেনিয়া বিভাগের প্রেসিডেন্ট সার্জিও লে লোপেজ, মেক্সিকোর আমদানিকারক ও রফতানিকারকদের জাতীয় সংগঠন (এএনআইইআরএম)-এর ডিরেক্টর মিসায়েল ড্যানিয়েল রেয়েস এবং মেক্সিকান কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনস (সিওএমইএক্সই)-এর মহাপরিচালক নাথান উলফ লাস্টবেডার।

সেমিনারে দেওয়া বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বাংলাদেশ ও মেক্সিকোর মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে দুই দেশের ব্যবসায়ীদের (বিজনেস টু বিজনেস পিপল) মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির আহ্বান জানান।

বাণিজ্যমন্ত্রী বাংলাদেশে চলমান বিভিন্ন মেগা প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়নের কথা উল্লেখ করে জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, প্রযুক্তিসহ সকল খাতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত হয়েছে।

করোনা মহাসংকটের পর রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের মতো বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং স্থিতিশীলতার কথাও তুলে ধরেন টিপু মুনশি।

সিওএমসিই এবং এএনআইইআরএম-এর প্রতিনিধিরা বাংলাদেশে হালাল মাংস রফতানির আগ্রহ প্রকাশ করেন। এছাড়া, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার উপর গুরুত্বারোপ করেন। উভয় দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়াতে ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংযোগ বাড়ানোর কথাও বলেন তারা।

সিওএমইএক্সআই-এর মহাপরিচালক নাথান উলফ লাস্টবেডার বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহ প্রকাশ করে বাণিজ্য বাজারের বৈচিত্র্যের উপর জোর দিতে উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের অনুরোধ জানান।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবদুর রহিম খান বাংলাদেশের অনুকূল বাণিজ্য ল্যান্ডস্কেপ নিয়ে আলোচনা করেন। মেক্সিকোর ব্যবসায়ী নেতা এবং নীতিনির্ধারকদের বাংলাদেশে একশোটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে সুযোগ অন্বেষণ করার জন্য আমন্ত্রণ জানান তিনি।

ইবারো আমেরিকানা ইউনিভার্সিটির ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড বিভাগের সমন্বয়ক ড. আরিবেল কনটেরাস সুয়ারেজ, মেক্সিকোর অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো তুলে ধরেন। এছাড়া দুটি বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের মধ্যে বিশাল ব্যবসায়িক সম্ভাবনা সম্পর্কে মতামত ব্যক্ত করেন।

মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম সেমিনারটি পরিচালনা করেন। রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে সমন্বয়মূলক অংশীদারত্ব, কৌশলগত বিনিয়োগ, উদ্ভাবনী অনুশীলন, দক্ষতা উন্নয়ন এবং বাজার অনুসন্ধানের জন্য উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানান।