পেঁয়াজ-আলুর দাম নিয়ন্ত্রণ করতে না পারাটা আমাদের দুর্বল দিক: কৃষিমন্ত্রী

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, পেঁয়াজ-আলুর দাম নিয়ন্ত্রণ করতে না পারাটা আমাদের দুর্বল দিক। আমরা পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি না, আলুর দামও না। এ নিয়ে সমালোচনা করেন, আমরা মেনে নেবো। কারণ, এটা আমাদের দুর্বল দিক। কিন্তু আমাদের সবল দিকগুলোও মিডিয়াতে তুলে ধরুন।

রবিবার (৮ অক্টোবর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

আলু ও পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সরকার হাল ছেড়ে দিয়েছে কিনা– জানতে চাইলে ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘মোটেই হাল ছেড়ে দেইনি। আমরা এখনও যথেষ্ট তৎপর রয়েছি। উৎপাদনের পার্টটা হলো আমাদের কৃষি মন্ত্রণালয়ের। বাজার মনিটর করার দায়িত্ব বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের। তারপরও আমি দায়িত্ব এড়াতে পারি না।’

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘পেঁয়াজ সংরক্ষণে নতুন প্রযুক্তি আনা হয়েছে। নতুন প্রযুক্তি অনুসরণ করে পেঁয়াজ রাখলে পাঁচ শতাংশও পচবে না। এ প্রযুক্তি যদি আমরা অনুসরণ করতে পারি আগামী দুই বছরের মধ্যে বিদেশ থেকে কোনও পেঁয়াজ আমদানি করতে হবে না। পেঁয়াজের নতুন জাত বিজ্ঞানীরা উদ্ভাবন করেছেন, হেক্টর প্রতি ৪০-৫০ টন উৎপাদন হয়। আগামী দিনে বাংলাদেশে পেঁয়াজের কোনও সমস্যা থাকবে না।’

আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারার কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি। কোল্ড স্টোরেজের মালিকরা খুবই অসহযোগিতা করছেন। তারা ঠিকমতো সরবরাহ করছেন না, এটা বড় অন্তরায়। নানাভাবে আমাদের কর্মকর্তারা মাঠ লেভেলে তাদের চাপ সৃষ্টি করলে সাপ্লাই দেয় না, কোল্ড স্টোর বন্ধ করে চলে যায়। এ ধরনের কিছু বিষয় রয়েছে। তা সত্ত্বেও প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।’

আব্দুর রাজ্জাক আরও বলেন, ‘পেঁয়াজ আমাদের দেশে পর্যাপ্ত উৎপাদন হয় কিন্তু এটি পচনশীল পণ্য। এপ্রিল-মে মাসে পেঁয়াজ তোলা হয়, তারপর দুই মাসের বেশি থাকে না। পেঁয়াজ পচে যায়, শুকিয়ে যায়। এ জন্য এ পণ্য নিয়ে আমাদের সমস্যা। নভেম্বর-ডিসেম্বরে বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়। গত বছর যথেষ্ট উৎপাদন হয়েছিল, চাষিরা বিক্রি করতে পারেনি। আলুরও একই অবস্থা, রাস্তায় ফেলে দিয়েছে। এবার পরিস্থিতি উল্টো। উৎপাদন কম হওয়ার সুযোগে কোল্ড স্টোরেজ মালিক ও আড়তদাররা ব্যাপকভাবে মুনাফা করছে। এতো লাভ করা উচিত না। ২০ টাকা খরচ হয় না, বিক্রি করছে ৪০-৫০ টাকায়।’