বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আশা করছে ইইউ

ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) আশা করে, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠিত হবে বাংলাদেশে। বুধবার (১৫ নভেম্বর) ঢাকা সফররত ইইউ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের এ কথা জানান পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। পররাষ্ট্র সচিব, বাণিজ্য সচিব ও শ্রম সচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন ইইউ প্রতিনিধিরা।

ইইউ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইউরোপিয়ান এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর পাওলা পামপালোনি। বৈঠকে ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি উপস্থিত ছিলেন।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘মানবাধিকারের যে সাধারণ বিষয়গুলো আছে—যেমন সমাবেশ করার স্বাধীনতা, সংগঠন করার স্বাধীনতা, মত প্রকাশ করার স্বাধীনতা, যথেচ্ছ ধরপাকড়– এ ধরনের যেসব বিষয় আছে সেগুলো নিয়ে আমরা ইতোমধ্যে ইউপিআর (ইউনিভার্সাল পিরিয়ডিক রিভিউ)-এ বিস্তারিত আলোচনা করেছি। সেটির আলোকে আমরা অবহিত করেছি।’

এছাড়া নির্বাচন নিয়ে আলাদা করে আলোচনা হয়নি। তবে আমরা বলেছি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যে পরিবেশ দরকার– সম্ভবত আজই রাতের বেলা তফসিল ঘোষণা হবে এবং তারপরে আমরা আশা করছি সব দল অংশ নেবে, বলে তিনি জানান।

ন্যূনতম মজুরি

চলমান শ্রমিক আন্দোলন এবং ইইউ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে শ্রম বিষয়ে বৈঠকটি একদম কাকতালীয় বলে জানান পররাষ্ট্র সচিব।

তিনি বলেন, ‘মজুরি বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা বলেছি যে ৫৬ শতাংশ মজুরি বৃদ্ধির যে ঘোষণা এসেছে এবং তারা বলেছে যে সবাই এটি মেনে নেয়নি। তারা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মহলের সঙ্গে দেখা করছে। তারা আশা করছে যে আমাদের শ্রম খাতে যে কিছুটা অসন্তোষ বিরাজ করছে, সেটি যাতে দ্রুত ঠিক হয়ে যায়।’ 

জিএসপি প্লাস

ইইউ থেকে জিএসপি প্লাস সুবিধা বাংলাদেশ কীভাবে পেতে পারে সেটির বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।

বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, বাংলাদেশের রফতানির ৮৫ ভাগ আয় তৈরি পোশাক খাত থেকে আসে। সুতরাং স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণের পরে যদি আমাদের জন্য জিএসপি প্লাস থাকে এবং একই সঙ্গে তৈরি পোশাক শিল্প যদি সুবিধার বাইরে থাকে, তাহলে সেটি হবে অর্থহীন। আমরা বলেছি তৈরি পোশাক শিল্পকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

আরও পড়ুন- জাতীয় নির্বাচন পরিস্থিতি জানতে চেয়েছে ইইউ প্রতিনিধি দল