যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির ওপর ভিসানীতি প্রয়োগ করলে খুশি হবেন মোমেন

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি বিএনপি নেতাদের ওপর ভিসা বিধিনিষেধ নীতি প্রয়োগ করে, তাহলে ভালো হবে। কারণ তারা আগামী সাধারণ নির্বাচনকে প্রতিহত করার চেষ্টা করছে। বুধবার (২৭ ডিসেম্বর বিকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আমি খুশি হবো যদি তারা (মার্কিন) বিএনপির ওপর (ভিসানীতি) প্রয়োগ করে।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের লক্ষ্যকে সমর্থন করার জন্য গত ২৪ মে একটি নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করেছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জে ব্লিনকেন নতুন নীতি ঘোষণা করার সময় এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে বিশ্বাস করা গেলে যেকোনও বাংলাদেশি ব্যক্তির জন্য যুক্তরাষ্ট্র ভিসা প্রদান সীমিত করতে পারবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের ধারনা, বিএনপির সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দেখার পর তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের কোনও আস্থা নেই। মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, কিন্তু তারা বিএনপির মধ্যে গণতান্ত্রিক মানসিকতা দেখেনি। বরং ওয়াশিংটন ধারণা করছে যে বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল। সন্ত্রাসীকে কেউ পছন্দ করে না।

নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ বিদেশি কোনও চাপে আছে কি না–এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, না! আমরা কারও চাপে নেই। বরং গণমাধ্যম আমাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে।

মন্ত্রী বলেন, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ বলে নিজেদের চাপে রয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার সব সময়ই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চায়। যুক্তরাষ্ট্রসহ বহির্বিশ্ব এক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। সরকার চায় বিপুল সংখ্যক মানুষ ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেবে। ভোটার উপস্থিতি ভালো হলে নির্বাচন সব মহলে গ্রহণযোগ্য হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এ অঞ্চলে মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের মতো কোনও প্রক্সি যুদ্ধ দেখতে চায় না। সূত্র: বাসস।