সবার আগে ফোন করলেন নরেন্দ্র মোদি

বাংলাদেশে বিগত তিনটি সংসদীয় নির্বাচনের ঠিক পর পরই বিজয়ী দল আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে টেলিফোন করে অভিনন্দন জানানো হয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে। সেই পরম্পরা বজায় রেখে সোমবার (৮ জানুয়ারি) দিল্লি থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ফোন করলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে।

সোমবার ভারতীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা বাজার একটু আগে (বাংলাদেশে সাড়ে ৬টা) দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ঢাকার গণভবনে ফোন করা হয় বলে বাংলা ট্রিবিউন জানতে পেরেছে। 

সোমবার ভারতীয় সময় রাত ৮টা নাগাদ ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদি আজ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলেছেন এবং (সে দেশের) সংসদীয় নির্বাচনে টানা চতুর্থবার জয়ের ঐতিহাসিক অর্জনের জন্য তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।’

‘এক্স’ হ্যান্ডল (সাবেক টুইটার) থেকে নরেন্দ্র মোদির পোস্ট বস্তুত, ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা এদিন সকালেই ঢাকায় গণভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী হাসিনাকে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানিয়ে এসেছিলেন। তিনি ছাড়াও চীন, রাশিয়াসহ আরও বেশ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূতও সোমবার প্রধানমন্ত্রী হাসিনাকে অভিনন্দন জানান। অভিনন্দন জানানো হয় ভুটানের রাজার পক্ষ থেকেও।

কিন্তু বিশ্বের অগ্রগণ্য নেতাদের মধ্যে নরেন্দ্র মোদিই প্রথম, যিনি এই ঐতিহাসিক বিজয়ের পর সরাসরি টেলিফোন করে প্রধানমন্ত্রী হাসিনার সঙ্গে কথা বললেন এবং তাকে অভিনন্দন জানালেন। 

বাংলাদেশে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা বা বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে যারাই প্রশ্ন তুলুক, ভারত যে সেটাকে আমল দিচ্ছে না এবং বাংলাদেশের সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনকে পূর্ণ স্বীকৃতি দিচ্ছে, মোদি-হাসিনার এই টেলিফোন আলাপের মধ্য দিয়ে সেটাও আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেলো। 

 

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা প্রেস বিবৃতিবস্তুত ভারতীয় সময় সোমবার সন্ধ্যা ৬টা বেজে ৩৮ মিনিটে (বাংলাদেশে সন্ধ্যা ৭টা বেজে ৮ মিনিট) প্রধানমন্ত্রী মোদি তার ‘এক্স’ হ্যান্ডেল (সাবেক টুইটার) থেকেও পোস্ট করেন: ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলেছি ও সংসদীয় নির্বাচনে তার পরপর চারবার ঐতিহাসিক বিজয়ের জন্য অভিনন্দন জ্ঞাপন করেছি।’

তিনি সেই সঙ্গে লেখেন, ‘সফলভাবে নির্বাচন সম্পাদন করার জন্য আমি বাংলাদেশের জনগণকেও অভিনন্দন জানাই। বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘস্থায়ী ও মানুষ-কেন্দ্রিক অংশীদারিত্বকে আরও শক্তিশালী করার জন্য আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ।’

গত ১৫ বছর ধরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের যে ‘সোনালি অধ্যায়’  চলছে, সেটাই আগামী দিনেও অব্যাহত থাকার অঙ্গীকার এই বার্তার মধ্য দিয়ে প্রতিফলিত হলো বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।