স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্র খুঁজতে কমিটি গঠন

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিতকরণসহ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে কমিটি গঠন করেছে সরকার। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রীকে আহ্বায়ক করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ‘বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন এবং মহাকাশ ও জিও-স্পেশিয়াল প্রযুক্তি উপকমিটি’ গঠন করেছে।

অবশ্য গত বছরের ১০ ডিসেম্বর এ উপকমিটি গঠিত হলেও গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) তা গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়।

কমিটির অন্য সদস্যের মধ্যে রয়েছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়; বিদ্যুৎ; ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ; তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব; বুয়েটের উপাচার্য; শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল; ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. হাসিনা খান; ঢাবির বিজ্ঞান অনুষদের ডিন; বাংলাদেশ প্রকৌশল গবেষণা কাউন্সিল; বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন; বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান (স্পারসো); বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদ এবং বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানির চেয়ারম্যান; বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান; জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর; বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার; ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজির মহাপরিচালক; নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের (এনপিসিবিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক; বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমির সভাপতি এবং এ-টু-আইয়ের প্রকল্প পরিচালক; বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্ম সচিব এর সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন।

এ উপকমিটির কার্যপরিধির মধ্যে রয়েছে স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১ বিনির্মাণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিতরণ; চিহ্নিত ক্ষেত্রগুলোর উদ্দেশ্য, সমস্যা, সম্ভাবনা ও করণীয় নির্ধারণ; নিজ অধিক্ষেত্রের বাইরে অন্যান্য মন্ত্রণালয় বা বিভাগ, বেসরকারি খাত বা সংস্থা এবং শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত (ক্রস কাটিং) বিষয়গুলো চিহ্নিতকরণ; স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১ বাস্তবায়নে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন; প্রণয়নকৃত কর্মপরিকল্পনার বাস্তবায়ন তদারকি করবে এবং কর্মপরিকল্পনার বাস্তবায়ন অগ্রগতি ষাণ্মাসিক ভিত্তিতে স্মার্ট বাংলাদেশ টাস্কফোর্সকে অবহিত করবে।

এর আগে ২০২২ সালের আগস্টে প্রধানমন্ত্রীকে আহ্বায়ক করে স্মার্ট বাংলাদেশ টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। অবশ্য নতুন সরকার গঠনের প্রেক্ষাপটে এই টাস্কফোর্স পুনর্গঠন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।