চালের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহযোগিতা জোরদার করবে ইরি

বাংলাদেশে চালের উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতা জোরদারে কাজ করবে আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ইরি)। সে লক্ষ্যে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) সঙ্গে পাঁচ বছর মেয়াদি কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সংস্থাটি।

সোমবার (২২ জানুয়ারি) সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুস শহীদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে ইরির প্রতিনিধিদল এসব কথা জানান। প্রতিনিধিদলে ছিলেন সংস্থাটির এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক জংসু শিন, বাংলাদেশের প্রতিনিধি হোমনাথ ভান্ডারি, নির্বাহী সহকারী মো. শাহিন ভূঁইয়া এবং বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর।

বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘একটি দেশের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা নিশ্চিত করা না গেলে নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। বর্তমানে দেশে খাদ্যের কোনও ঘাটতি নেই। তবে জনসংখ্যা বাড়ছে, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী রয়েছে। এসব কারণে ভবিষ্যতে খাদ্য নিরাপত্তার জন্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। ইরির সহযোগিতা এ ক্ষেত্রে খুবই সহায়ক হবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য উৎপাদন আরও বৃদ্ধি করা। উৎপাদন বাড়াতে পারলে মজুতদারি, কৃত্রিম সংকটের মতো সমস্যা থাকবে না। সে জন্য উৎপাদন বাড়িয়ে আমরা মজুতদারি ও কৃত্রিম সংকট মোকাবিলা করবো।’

ইরির প্রতিনিধিদল তাদের কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন। তারা জানান, চালের উৎপাদন বাড়াতে উচ্চ ফলনশীল, স্বল্প জীবনকালীন ও মানসম্পন্ন ধানের জাত উৎপাদনে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। খরা, তাপ, ঠান্ডা, লবণাক্ততাসহ প্রতিকূল পরিবেশে চাষোপযোগী এবং পুষ্টিসম্পন্ন ধানের জাত উদ্ভাবনে এখন গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে।