‘নিজ অফিসের নিচতলায় বিআরটিএর দুর্নীতি, জানেন না ডিসি’

প্রত্যেক জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নিচতলায় বিআরটিএর অফিস আছে এবং সে অফিসে দুর্নীতি আছে, যা জেলা প্রশাসক জানেন না। আমি বলেছি যে, প্রত্যেকটা বিষয় আমাদের খোঁজখবর রাখতে হবে। যে জায়গাগুলোতে অভিযোগ আছে সেই জায়গাগুলোয় আমাদের মনিটরিং বাড়াতে হবে।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বিকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের তৃতীয় দিন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত কার্য-অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এভাবেই বলছিলেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহার হোসেন।

তিনি বলেন, নির্বাচনের পর প্রথম জেলা প্রশাসক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তাদের কাছে প্রধানমন্ত্রী খুব চমৎকারভাবে বার্তাগুলো দিয়েছেন। আমরা আলোচনা করেছি মানসম্মত সেবাটা কীভাবে নিশ্চিত করতে পারি। আমরা চাচ্ছি সেবার মান আরও কীভাবে বাড়াতে পারি।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের অভিযোগের জায়গাগুলো পয়েন্ট আউট করেছি। ছোট ভুলের জন্য সারা দেশে কর্মকর্তারা যেন বিব্রত না হন, সে বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) সতর্ক করা হয়েছে।

তিনি জানান, জেলা প্রশাসকরা আমাদের কাছে ১৩টি প্রস্তাব পাঠায়। তার উত্তর আমরা দিয়েছি। তাৎক্ষণিকভাবে আরও ১২টি প্রশ্ন তারা করেছিল। একজন ডিসি বলেছেন, আমাদের হাসপাতালে যে ডোম থাকে, একটা লাশ কাটার জন্য মাত্র ৬৫ টাকা দেওয়া হয়। তাদের টাকাটা বাড়ানোর বিষয়টি যৌক্তিক। একজন ডোম থাকেন এবং তিনি পুরুষ। যখন নারীর মরদেহ আসে তখন তার জন্য নারী ডোম থাকার প্রয়োজন। খুবই চমৎকার প্রশ্ন করেছেন। আমরা উত্তর দিয়েছি, বলেছি যে বিষয়টি অবশ্যই দেখবো।

তিনি বলেন, সার্কিট হাউজে নৈশপ্রহরীর নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

এবারের জেলা প্রশাসক সম্মেলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জানিয়ে জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহার হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম যেন নিবিড়ভাবে মনিটরিং করা হয়। এমনভাবে তা করতে হবে যেন সমস্যা তৈরি না হয়। মোবাইল কোর্ট থাকবে, কিন্তু কেউ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

রেস্টুরেন্টে আগুন ও নিরাপত্তা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, একটা রেস্টুরেন্টে ১০-২০টি চুলা আছে। ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা থাকে না। অনুমতি দেবেন বুঝেশুনে। সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি শতভাগ করতে হবে।

তিনি বলেন, মার্চ-এপ্রিলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বেশি ঘটে। এখন থেকে আমাদের সতর্কতা প্রয়োজন। আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। কোনও কাস্টমার যদি কোথাও গিয়ে দেখেন যে সেখানে ঝুঁকি আছে, তারা যেন ৯৯৯ বা ৩৩৩-তে ফোন দেন, যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানান। তখন আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

আমরা তাদের (ডিসি) বলেছি হাসপাতালের পরিদর্শন বাড়াতে হবে বলেও জানান ফরহাদ হোসেন।