বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৫তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিতে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া পৌঁছেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রবিবার (১৭ মার্চ) সকালে হেলিকপ্টারে করে টুঙ্গিপাড়া পৌঁছান রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। এ সময় রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে জাতির পিতার সমাধিতে পুষ্পমাল্য দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি। এরপর পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী।

সমাধিতে তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করে। পরে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের নিহত সদস্য এবং মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী বীর শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

শেষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু সমাধি সৌধের পাশে রক্ষিত পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন। এ ছাড়া দলীয় নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন শেখ হাসিনা।

বেলা ১১টায় রাষ্ট্রীয় কর্মসূচি শিশু সমাবেশে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজন ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেবেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক সচিব নাজমা মোবারেক। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেবেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি।

দলীয় নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী

এ ছাড়া বেলা সাড়ে ১১টায় সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার দেবেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তিনি অসচ্ছল, মেধাবী শিশু শিক্ষার্থীদের মধ্যে আর্থিক অনুদান দেবেন। পরে প্রধানমন্ত্রী বইমেলা ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের আঁকা চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন।

আজ ১৭ মার্চ, মহান স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৫তম জন্মদিন। দিবসটি ‘জাতীয় শিশু দিবস’ হিসেবে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় উদযাপিত হয়ে আসছে।

১৯২০ সালের ১৭ মার্চ রাত ৮টায় তৎকালীন ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শেখ লুৎফর রহমান ও সায়েরা খাতুন দম্পতির তৃতীয় সন্তান ‘খোকা’ পরবর্তী সময়ে হয়ে ওঠেন নির্যাতিত-নিপীড়িত বাঙালি জাতির মুক্তির দিশারী। গভীর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, আত্মত্যাগ ও জনগণের প্রতি অসাধারণ মমত্ববোধের কারণে হয়ে ওঠেন বঙ্গবন্ধু।

বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরেই দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ শেষে ১৯৭১ সালে আসে বাংলাদেশের স্বাধীনতা। বিশ্ব মানচিত্রে একটি দেশের জন্ম দেওয়া এই মানুষটিকে মাত্র ৫৫ বছর বয়সে সপরিবারে হত্যা করে কিছু বিপথগামী সেনা কর্মকর্তা। তবে বিদেশে অবস্থান করায় প্রাণে বেঁচে যান তার দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।

এদিকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস যথাযথ মর্যাদায় পালনের জন্য আওয়ামী লীগ দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।