পিতৃত্বকালীন ছুটি এখন বাস্তবতা

সন্তান ভূমিষ্ট হওয়ার পরে তাদের সঠিক প্রতিপালনে পিতাদের পিতৃত্বকালীন ছুটি দেওয়ার বিষয়টি সরকার বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছেন শ্রম অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. তারিকুল আলম।

রবিবার (৩১ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আয়োজিত ‘শোভন কাজ’ বিষয়ক এক জাতীয় সংলাপে তিনি এ কথা বলেন।

মো. তারিকুল আলম বলেন, এটি আমাদের দেশে নতুন একটি বিষয়। তবে কনসেপ্ট হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে সরকার কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, এটি সামগ্রিকভাবে জনপ্রসাশন মন্ত্রণালয় দেখবে।

তিনি আরও বলেন, খোলাখুলিভাবে যদি বলি এটাকে প্রথমে একটি মজার বিষয় হিসাবে মনে করা হতো, কিন্তু এখন আর মজার পর্যায়ে নেই। এখন এটি বাস্তবতা।

বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী নারীরা মাতৃত্বকালীন ছুটি পেলেও পিতাদের ক্ষেত্রে এ ধরনের কোনও নিয়ম নেই।

নারীর সীমিত অংশগ্রহণ

বাংলাদেশের শ্রমশক্তির ৪৩ শতাংশ নারী কিন্তু মজুরি নির্ধারনী প্রক্রিয়ায় তাদের অংশগ্রহণ সীমিত। এ জন্য শ্রম বিষয়ক নীতি গঠন এবং মজুরি নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় নারী শ্রমিকদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সবাইকে কাজ করার অনুরোধ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শামিম আরা।

তিনি বলেন, আমরা যদি ট্রেড ইউনিয়নের শীর্ষ নেতৃত্বের দিকে তাকাই, সেখানেও কম সংখ্যক নারী নেতৃত্ব দেখতে পাই। মজুরি নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় বা মজুরি বিষয়ক আলোচনার ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিতে আলাদা ব্যবস্থা নেই।

নারীদের পিছিয়ে পড়ার মূল কারণ খুঁজে বের করে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।