বিশ্বজুড়েই মূল্যস্ফীতির সমস্যা আছে। এ সমস্যা থেকে বাংলাদেশও বাইরে নয়। মূল্যস্ফীতি নিরসনে প্রস্তাবিত বাজেটে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান।
মঙ্গলবার (২৮ মে) পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন পিকেএসএফ মিলনায়তনে প্রমোটিং এগ্রিকালচার কমার্শিয়ালাইজেশন অ্যান্ড এন্টারপ্রাইজ (পেইস) প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিলের সহযোগিতায় ২০১৮-২০২৩ সাল পর্যন্ত ‘পেইস’ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে পিকেএসএফ।
অনুষ্ঠানে অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রকল্পটি দারিদ্র্য দূরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। উদ্যোক্তাদের জীবনযাত্রা সম্পূর্ণ বদলে গেছে। এভাবে উদ্যোক্তা তৈরি করলে আরও কর্মসংস্থান হবে।’
এ সময় পিকেএসএফের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুল কাদের জানান, প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে ৬৪ জেলায় তিন লাখ ৮৪ হাজার কর্মসংস্থান তৈরি করেছে। এতে চার লাখ ৩৯ হাজার অতিক্ষুদ্র উদ্যোক্তা সুবিধাভোগী তৈরি হয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘চিনিকে আমি খুব ভালো খাদ্য মনে করি না। তবে কৃষিজাত পণ্য ও খাদ্য নিরাপত্তার জন্য সার, বীজ ইত্যাদিতে সর্বোচ্চ ভর্তুকি দেওয়া হয়। বিদ্যুতেও দেওয়া হয়।’ খাদ্য সহায়তার জন্য শেখ হাসিনার সরকার গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবিলায় পূর্বপ্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল জানিয়ে অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষে। ঘূর্ণিঝড়ে যাদের ক্ষতি হয়েছে, তাদের প্রতি সহানুভূতি জানাচ্ছি। উদ্যোক্তা ও কৃষকদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। এজন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় কাজ করছে, পরে কৃষি মন্ত্রণালয়ও কাজ করবে। বাজেটে উদ্যোক্তা থেকে শুরু করে সবার জন্য বিভিন্ন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।’