বাল্যবিবাহ রোধে নতুন জাতীয় কমিটি

২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ সংক্রান্ত কমিটি গঠন করে জারি করা প্রজ্ঞাপন বাতিল করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। একইসঙ্গে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে নতুন করে জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় এ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে।

সম্প্রতি মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে সভাপতি করে ২৭ সদস্যের ‘বাল্যবিবাহ প্রতিরোধের নিমিত্ত জাতীয় কমিটি’ গঠন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবকে (প্রশাসন) এই কমিটির সদস্যসচিব করা হয়েছে। এ কমিটি আইনের যথাযথ বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা প্রদান এবং বাল্যবিবাহ প্রতিরোধকল্পে জেলা কমিটির কার্যক্রম তদারকি ও সমন্বয় করবে।

কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন-মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়, আইন ও বিচার বিভাগ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিবরা এই কমিটিতে সদস্য হিসেবে থাকবেন। একইসঙ্গে মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের মহাপরিচালক, জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান/ নির্বাহী পরিচালক, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মনোনীত কমপক্ষে অতিরিক্ত সচিব/ যুগ্মসচিব পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি, বাংলাদেশ শিশু অ্যাকাডেমির চেয়ারম্যান/ মহাপরিচালক, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সচিব, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশে ইউনিসেফের কান্ট্রি ডিরেক্টর এই কমিটিতে সদস্য হবেন।

এছাড়া সরকারের মনোনীত জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কার্যক্রম রয়েছে এমন প্রতিষ্ঠিত বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ বা নারী ও শিশু অধিকার সম্পর্কিত দুটি বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) একজন করে প্রতিনিধি থাকবেন এই কমিটিতে। যাদের মধ্যে একজন নারীও থাকবেন।

কমিটির কার্যপরিধিতে বলা হয়েছে, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে চ্যালেঞ্জ চিহ্নিতকরণ এবং তা নিরসনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ও দিকনির্দেশনা প্রদান, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে কৌশলগত দিকনির্দেশনা প্রদান, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় নীতি-নির্ধারণী সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং এ সংক্রান্ত জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ও নীতিগুলোর মধ্যে সমন্বয় সাধন এবং বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ সংক্রান্ত কার্যক্রমের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রণয়ন ও প্রকাশ করবে জাতীয় কমিটি।

প্রজ্ঞাপণে বলা হয়েছে, কমিটির সভা প্রয়োজন অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে। কমিটি প্রয়োজনে কোনও ব্যক্তি বা সংস্থার প্রতিনিধিকে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে।