কিছু নদীতে পানি বাড়তে পারে

উজানে ভারী বৃষ্টির কারণে আগামী তিন দিন সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের বেশিরভাগ নদীসহ রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের বেশ কিছু নদীর পানি বেড়েছে। তবে কিছু নদীর পানি কমছেও। যেসব নদীর পানি বাড়ছে সেগুলো বিপদসীমার নিচ দিয়েই প্রবাহিত হবে বলেও জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) পূর্বাভাসে তারা জানায়, দেশের প্রধান সব নদ-নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে সিলেট বিভাগের সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি বাড়ছে।

আগামী তিন দিন পর্যন্ত সিলেট বিভাগ ও উজানে ভারী বৃষ্টি হতে পারে৷ এর পর সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি বাড়তে পারে। তবে পানি বাড়লেও বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।

এই অঞ্চলে অন্যান্য প্রধান নদীর মধ্যে মনু, খোয়াই, ধলাই ও যাদুকাটা নদীর পানি বাড়ছে। সারিগোয়াইন ও কংস নদীর পানি স্থিতিশীল আছে। অপরদিকে ভূগাই ও সোমেশ্বরী নদীর পানি কমছে এবং বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে চট্টগ্রাম বিভাগে গোমতী ও হালদা নদীর পানি বাড়ছে। ফেনী ও মাতামুহরী নদীর পানি স্থিতিশীল আছে। অপরদিকে সাঙ্গু ও মুহুরী নদীর পানি কমছে এবং বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী তিন দিন পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিভাগ ও  উজানে ভারী বৃষ্টির প্রবণতা রয়েছে, যার কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের এসব নদীর পানি বাড়তে পারে। তবে পানি বাড়লেও তা বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।

অন্যদিকে রাজশাহী বিভাগে পদ্মা নদীর পানি বাড়লেও বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী কয়েকদিন পানি বাড়লেও তা বিপদসীমার নিচেই থাকবে।

আরও জানানো হয়, রংপুর বিভাগের ব্রহ্মপুত্র নদের পানি হ্রাস পাচ্ছে ও তার ভাটিতে যমুনা নদীর পানি স্থিতিশীল আছে এবং বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী দুই দিন ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি হ্রাস পেতে পারে এবং পরবর্তী তিন দিন পানি ধীর গতিতে বাড়তে পারে, তবে তা বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।

রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি কমছে এবং বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ৩ দিন পর্যন্ত তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি সমতল হ্রাস পেতে পারে।

রাজশাহী বিভাগের বাঙ্গালী, মহানন্দা ও ছোট যমুনা নদীর পানি বাড়ছে। অপরদিকে আত্রাই ও করোতয়া নদীর পানি স্থিতিশীল আছে এবং বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত রাজশাহী বিভাগের এই সব নদীর পানি স্থিতিশীল থাকতে পারে এবং পরবর্তী দুই দিন পানি কমতে পারে।

আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ মধ্য প্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর দিকে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।

বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পূর্বাভাসে বলা হয়, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহীও ময়মনসিংহ বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।