শিল্পাঞ্চলের যানজট নিরসনের নেপথ্যে ‘লেন বিভাজন’

যেসব এলাকায় কিছুদিন আগেও নাগরিকদের অসহনীয় যানজটের শিকার হতে হতো, সেই হাতিরঝিলসহ নাবিস্কো থেকে আফতাব নগর এবং নাবিস্কো থেকে মগবাজার রেললাইন পর্যন্ত এলাকায় যান চলাচল অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। বিজিএমইএ ভবন থেকে হোটেল সোনারগাঁও যেতে লেন বিভাজিত করে দেওয়ার পর এখন সহনীয় পর্যায়ে নেমে এসেছে হাতিরঝিলের যানজট।

ঢাকা মহানগর ট্রাফিক পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) প্রবীর কুমার রায় জানান, নাবিস্কো থেকে মহখালী ও গুলশান লিংকরোডে যাওয়ার জন্য পৃথক লেন করে দেওয়া হয়েছে। ফলে গাড়ি মহাখালীর দিকে না গিয়েও গুলশান লিংকরোডে যেতে পারে। আগের মতো অপেক্ষা করতে হয় না।

শিল্পাঞ্চলের রাস্তায় বিভাজিত লেন

তিনি আরও  বলেন, উপযুক্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর লেন ঠিকভাবে বিভাজিত হলে তা বেশ কাজে আসে। সোনারগাঁও এর লেন বিভাজন তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল ট্রাফিক এর মাঠ-পরীক্ষার ফল। বাড্ডা-হাতিরঝিল সংযোগ সড়কেও লেন পৃথক করে দেওয়ায় যানজট কমে এসেছে।

তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের এসি ট্রাফিক আবু ইউসুফ বলেন, মেয়র আনিসুল হকের উদ্ধার করা তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ড বিকল্প সড়ক হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এটা সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র কারওয়ান বাজারের জনতা টাওয়ারের রাস্তা উদ্ধারের কারণে।

তিনি আরও বলেন, কাঁচাবাজারের দখলে থাকা রাস্তা থেকে প্রতিদিন দখলদারদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। ফলে যানজটে আটকে থাকা এফডিসির রাস্তায় না গিয়ে ছোট গাড়িগুলো ট্রাকস্ট্যান্ডের রাস্তা দিয়ে কারওয়ান বাজার হয়ে ১০ থেকে ২০ মিনিটে সোনারগাঁও পৌছে যেতে পারে।

এসি ট্রাফিক বলেন, রাস্তার খানা-খন্দ তাৎক্ষণিকভাবে মেরামত করতে ভাঙা ইট-পাথর মজুদ রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে মেরুল বাড্ডা ও সাতরাস্তা- হাতিরঝিল সংযোগ সড়কের খানা-খন্দ তাৎক্ষণিকভাবে মেরামত করা হয়েছে। এমনকি জরুরি প্রয়োজনে বৈদ্যুতিক মটর কিনে নিষ্কাশন করা হয়েছে রাস্তায় জমে থাকা পানি।  

/জেইউ/