হজ এজেন্সির সঙ্গে ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই সব চুক্তি সই করতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, হজ এজেন্সির সঙ্গে ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই সব চুক্তি সই করতে হবে। সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে চুক্তির এই সময় আর বৃদ্ধি করা হবে না। বাংলাদেশ থেকে নিবন্ধিত কোনও ব্যক্তি এজেন্সির অবহেলায় হজ পালন করতে না পারলে তার দায় সংশ্লিষ্ট এজেন্সিকে নিতে হবে।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ২০২৫ সালের হজ ব্যবস্থাপনার সর্বশেষ অগ্রগতির বিষয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, হজ ও ওমরাহ বিধিমালা-২০২২ অনুসারে সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের জন্য বাড়ি ভাড়া করার জন্য ধর্ম সচিবের নেতৃত্বে ১২ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি রয়েছে। এ বছর কমিটিতে সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের দুই জন ও জেদ্দা কনস্যুলেটের দুই জন প্রতিনিধি কো-অপ্ট (কাউকে দলে অন্তর্ভুক্ত) করা হয়। এই কমিটি বাড়ি ভাড়ার জন্য প্রাপ্ত কোটেশনের আলোকে বাড়িগুলোর মান, আনুষঙ্গিক সুবিধা, হারাম শরিফ থেকে দূরত্ব, হজ প্যাকেজে প্রতিশ্রুত সেবা ও  ভাড়া বাবদ বরাদ্দ প্রভৃতি বিষয় চুলচেরা বিশ্লেষণ করে সর্বোত্তম বাড়িগুলো ভাড়া করেছে।

ধর্ম উপদেষ্টা আরও বলেন, এ বছর সরকারি মাধ্যমে সাধারণ হজ প্যাকেজ-১-এ নিবন্ধিত হজযাত্রীদের জন্য মক্কায় হারাম শরিফের বহির্চত্বর থেকে সর্বোচ্চ ১ দশমিক ৬ কিলোমিটারের মধ্যে বাড়ি ভাড়া করা হয়েছে। এ জন্য এই প্যাকেজের বাড়ি ভাড়া ও পরিবহন সেবা খাতের টাকা সমন্বয় করা হয়েছে। অন্যদিকে, সাধারণ হজ প্যাকেজ-২-এর হজযাত্রীদের জন্য মক্কায় যেসব হোটেল ভাড়া করেছি সেগুলোর সর্বোচ্চ দূরত্ব হবে ১ দশমিক ২ কিলোমিটার। এছাড়া মদিনায় হজ প্যাকেজ-১-এর হজযাত্রীদের জন্য সর্বোচ্চ এক কিলোমিটারের মধ্যে এবং হজ প্যাকেজ-২-এর হজযাত্রীদের জন্য ৩০০-৬০০ মিটারের মধ্যে হোটেল ভাড়া করা হয়েছে।

ড. খালিদ বলেন, হজ প্যাকেজ-১-এর হজযাত্রীরা মিনায় জোন-৫-এর তাঁবুতে অবস্থান করবেন এবং হজ প্যাকেজ-২-এর হজযাত্রীরা মিনায় জোন-২-এর তাঁবুতে অবস্থান করবেন। অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে বিশ্বস্ত হজসেবা প্রদানকারী কোম্পানিগুলোর সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন করা হয়েছে। এ বছর সরকারি মাধ্যমে হাজিরা সন্তোষজনক সেবা পাবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ড. খালিদ আরও বলেন, হজ সার্ভিস কোম্পানির সঙ্গে ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে চুক্তি সম্পাদনের বিষয়টি গত বছরের ২৩ অক্টোবর সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়। পরবর্তী সময়ে আরও কয়েকবার পত্র মারফত আমাদের এ বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে এবং সে মোতাবেক ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে সংশ্লিষ্ট এজেন্সিগুলোকে জানানো হয়েছে। তিনি সৌদি সরকারের বেঁধে দেওয়া সময় ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই সব এজেন্সিকে হজ সেবাদানকারী কোম্পানির সঙ্গে সব ধরনের চুক্তি সম্পাদন করার অনুরোধ জানান।

এ সময় ধর্ম সচিব একেএম আফতাব হোসেন প্রামাণিক, হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মতিউল ইসলাম, যুগ্ম সচিব ড. মো. মঞ্জুরুল হক, উপদেষ্টার একান্ত সচিব ছাদেক আহমদসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।