এনবিআর বিভক্ত করায় রাজস্ব আদায়ে কোনও প্রভাব পড়বে না: অর্থ উপদেষ্টা

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিভক্ত করায় রাজস্ব আদায়ে কোনও প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত রাজস্ব আদায় গতবারের (২০২৪) তুলনায় ২ শতাংশ বেশি হয়েছে। খুব হতাশাব্যঞ্জক না, আমি আরও আশা করছি। অ্যাটলিস্ট গতবারের তুলনায় কম হবে না।

মঙ্গলবার (১৩ মে) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। অর্থ উপদেষ্টার সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

সোমবার (১২ মে) অধ্যাদেশের মাধ্যমে ৫৩ বছরের এনবিআর ভেঙে দেওয়া হয়। বলা হচ্ছে, কাস্টম ট্যাক্স ক্যাডারের কর্মকর্তারা লম্বা সময় ধরে এনবিআর বিভক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসছিলেন। তাদের মতামত উপেক্ষা করেই এ অধ্যাদেশ করা হয়েছে। বিষয়টি সে রকম? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, অধ্যাদেশটা ভালো করে পড়ে দেখেন, তাদের স্বার্থ সম্পূর্ণরূপে সংরক্ষিত আছে। একটা পলিসি ডিভিশন হবে, এটা অত্যন্ত ছোট একটা ডিভিশন। অতএব, এনবিআরের দুশ্চিন্তা করার কোনও কারণ নেই। এনবিআর থাকবে, এনবিআর যেভাবে আছে কতগুলো টার্মস অব রেফারেন্স হিসেবে।

তিনি বলেন, এটা ইন্টারন্যাশনাল প্র্যাকটিসে পলিসি ডিভিশন আর ইমপ্লিমেশন ডিভিশন এক থাকে না। সব দেশেই আলাদা থাকে। কারণ পলিসি ডিভিশনটা প্রফেশনাল লোক দিয়ে কাজ করতে হয়ে। অর্থনীতি, পরিসংখ্যান, দেশের জিডিপি এগুলো সম্পর্কে ধারণা থাকতে হয়। আর এনবিআর করবে এটা ইমপ্লিমেন্ট। এখন এনবিআর যদি পলিসিও করে, মানে যাদের কাজ কেবল আদায় করা, এটা একটা কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট থাকে। আমি পলিসি করলাম, আমি আবার লোক দিয়ে আদায় করলাম।

অর্থ উপদেষ্টা জানিয়েছেন, নতুন অর্থবছরের বাজেটে অত্যন্ত বাস্তবভিত্তিক বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) নেওয়া হবে। ধার করে বড় বড় মেগাপ্রকল্প করবো না। ব্যাংক থেকে ধার করে, নতুন টাকা ছাপিয়ে বাজেট বাস্তবায়ন করবো না।

তিনি বলেন, মোটামুটি বাজেটটা আমরা বাস্তবায়ন করবো, বিরাট একটা গ্যাপ নিয়ে করবো না। প্রকল্প, এডিপি বাস্তবায়ন করবো অত্যন্ত বাস্তবভিত্তিতে। কিছুটা তো ঘাটতি থাকবে। সেটা পূরণ করতে আমি নেগোশিয়েট করছি, আমরা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ), বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে প্রজেক্টের ব্যাপারে কথা বলছি, সেটা মোটামুটি এখন সাকসেসফুল।