অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে যৌথবাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে অভিযানের সিদ্ধান্ত

অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে জেলা প্রশাসকদের কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। যেসব স্থানে অবৈধভাবে বালু উত্তোলিত হয়, সেসব স্থানে জেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদফতর ও যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে অভিযান চালাতে হবে।

বুধবার (১৪ মে) মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদের সভাপতিত্বে সব বিভাগের কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বালুমহাল সংক্রান্ত ভার্চুয়াল সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.), ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সংযুক্ত ছিলেন।

সভায় নেওয়া সিদ্ধান্তের মধ্যে আছে– জনগণের অভিযোগ নিষ্পত্তি করতে হবে এবং অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য গৃহীত হওয়ার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট অভিযোগকারিকে জানাতে হবে। নতুন বালু মহাল ঘোষণার আগে ইজারা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে হাইড্রোগ্রাফিক জরিপসহ প্রচলিত আইন ও বিধি মেনে। দীর্ঘদিনের পুরানো হাইড্রোগ্রাফিক জরিপের ভিত্তিতে প্রদত্ত বালু মহালের ক্ষেত্রে নতুন করে ইজারা কার্যক্রম গ্রহণের আগে পুনরায় হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ করে ইজারা কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।

ইজারাধীন বালুমহালের সীমানা ইজারাদারকে চিহ্নিত করে দিতে হবে এবং চিহ্নিত এলাকার বাইরে বালু উত্তোলন বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। সূর্যাস্তের পর বালু উত্তোলন বন্ধের লক্ষ্যে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে হবে। যেসব বালু মহাল থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে একাধিক জেলার সম্পৃক্ততা রয়েছে, সেসব ক্ষেত্রে পারস্পরিক সমন্বয় করে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে যৌথভাবে পদক্ষেপ নিতে হবে।

অবৈধভাবে উত্তোলিত জব্দ করা বালু নিলামে না দিয়ে সরকারি প্রতিষ্ঠানের নির্মাণকাজে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনে আদালতের সিদ্ধান্ত নিয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। বালু মহালের ইজারাগ্রহীতার শর্ত ভঙ্গ হলে শুধু শ্রমিকদের নয়, বিচারের মুখোমুখি করতে হবে ইজারাদারও। জেলা পর্যায়ে অভিযোগ নিষ্পত্তিতে কার্যকর কাঠামো নিশ্চিত করতে হবে।