এনসিসি গঠনে বেশিরভাগ দলের সম্মতি: আলী রীয়াজ

জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠনে অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের সম্মতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

বুধবার (১৮ জুন) বিকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ শেষে এ কথা বলেন তিনি।

আলী রীয়াজ বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে দেখা গেছে, তারা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণমূলক কাঠামোর প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করছে। এ বিষয়ে অধিকাংশ দলই একমত হয়েছে, যদিও কয়েকটি দল ভিন্নমত পোষণ করেছে।’

তিনি জানান, সংবিধান সংস্কার কমিশন প্রস্তাবিত ‘জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল’ নামটি নিয়ে কেউ কেউ আপত্তি তুললেও মূল লক্ষ্য অর্জনের জন্য নাম পরিবর্তনকে বড় বিষয় হিসেবে দেখছেন না কমিশন।

তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছি কাঠামো ও কার্যকারিতা মুখ্য, নাম নিয়ে অচলাবস্থা তৈরি করার প্রয়োজন নেই। আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে এবং এটি আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত চলবে।’

রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমাদের কাছে দুটি প্রস্তাব এসেছে। একটি হলো ইলেক্টোরাল পদ্ধতিতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন এবং অন্যটি বিদ্যমান বিধান সংস্কার করে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা পুনর্বিন্যাস। সবাই এই বিষয়ে একমত হয়েছে।’

তিনি জানান, ঐকমত্য কমিশন ও সংবিধান সংস্কার কমিশন যৌথভাবে বিষয়টি পর্যালোচনা করে পরবর্তী আলোচনায় তুলে ধরবে।

সংলাপে জেলা সমন্বয় কাউন্সিল নিয়ে তুলনামূলক কম আলোচনা হয়েছে জানিয়ে আলী রিয়াজ বলেন, ‘কয়েকটি দল এর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেও এটি নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়নি।’

কাউন্সিলের জবাবদিহি কাঠামো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রস্তাব অনুযায়ী কাউন্সিলের সদস্যরা হবে নির্বাচিত প্রতিনিধি। তারা যেহেতু জনগণের ভোটে নির্বাচিত, তাই তাদের মাধ্যমেই জবাবদিহি নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।’

সংলাপে দুটি রাজনৈতিক দলের ওয়াকআউট প্রসঙ্গে আলী রীয়াজ বলেন, ‘এতগুলো দলের মধ্যে মতপার্থক্য ও ক্ষোভ থাকবেই। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, সংলাপে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ দল সহযোগিতামূলক মনোভাব দেখিয়েছে। আলোচনা ছিল শান্তিপূর্ণ এবং গঠনমূলক।’

তিনি জানান, আগামীকাল (১৯ জুন) রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রক্রিয়া ও অন্যান্য অমীমাংসিত বিষয়ে আলোচনা চলবে।