এই ছবিটি ফেসবুকের প্রোফাইল পিকচারে দিতে চেয়েছিলেন তনু

তনু

ছবির মিষ্টি চোহারার মেয়েটির নাম সোহাগী জাহান তনু। ১৮ মার্চ শ্রীমঙ্গল চা বাগানে ছবিটি তুলেছিলেন তিনি। তনু এই ছবিটি প্রোফাইল পিকচারে দিতে চেয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থিয়েটারের সভাপতি রাশেদুল ইসলাম জীবন একথা জানান। কিন্তু ছবিটি নিজের ফেসবুকের প্রোফাইলে দেওয়া হলো না তনুর। তার আগেই ঘাতকের হাতে প্রাণ হারালেন কুমিল্লার ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী ও নাট্যকর্মী তনু।

তনুর লাশ উদ্ধারের পর থেকেই এ ছবিটি ফেসবুক ও গণমাধ্যমে দেখা যাচ্ছে। গত ২০ মার্চ সন্ধ্যায় টিউশনি করে বাসায় ফেরার পথে কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকায় পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা করা হয় তনুকে। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ময়নামতি সেনানিবাস এলাকার পাওয়ার হাউসের পানির ট্যাংকের পাশে তনুর মৃতদেহ খুঁজে পান তার বাবা।

ভ্রমণের ছবি

তনুর ওই ছবিটি তুলে দিয়েছিলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থিয়েটারের সাবেক সভাপতি আল-আমিন। কলেজ থিয়েটারের সভাপতি জীবন বলেন, ‘তনু আমাদের সংগঠনে এক বছর ধরে রয়েছে। সংগঠন থেকে আমরা ১৭ মার্চ শ্রীমঙ্গল আনন্দ ভ্রমণে যাই। ১৮ তারিখ রাতে ফিরি। আসার সময় সে বাসে  ‘অশ্রু দিয়ে লেখা এই গান কভু ভুলে যেওনা’ গানটি গেয়েছিল।’

আনন্দ ভ্রমণ

তিনি বলেন, ‘আল-আমিন ভাই তার এই ছবিটি তুলে দেয়। সে তখন, বলেছিল, ফেসবুকের প্রোফাইল ফিকচারে দেব ছবিটি। কিন্তু তার আর সেটি করা হলো না। তার ছবিটি এখন অনেকের প্রোফাইল ফিকচারে।’

তনু সম্পর্কে জীবন আরও বলেন, ‘তাকে বকা দিলেও হাসতো। তার মুখে সব সময় হাসি লেগেই থাকতো। সে সবার সঙ্গে দারুণভাবে মিশে যেতো। সে মূলত নাটকের নাচ ও গানের অংশে অংশ নিত। কলেজের সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় সে নাচে প্রথম, গান ও আবৃত্তিতে দ্বিতীয় হয়েছে। কিন্তু তার পুরস্কার নেওয়া হলো না। বৈশাখের অনুষ্ঠানের জন্য সে কয়েকটি নাচ প্র্যাকটিস করছিল।’

 

/এসটি/