পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক কমিশনারের কার্যালয়ের ঢাকা মিশন চালুর বিষয়ে চার দফা খসড়া আদান-প্রদান করা হয়েছে। বর্তমানে চুক্তির খসড়াটি বিবেচনা করছে জাতিসংঘ। এরপর কোনও পরিবর্তন না হলে দুপক্ষ এটি সই করবে। তিন বছরের জন্য অফিস খোলার বিষয়ে দুপক্ষ সম্মত। তিন বছর পরে নবায়ন না হলে অফিস থাকবে না। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘চুক্তিটি খসড়া পর্যায়ে আছে এবং খসড়া আদানপ্রদান হওয়ার পরে এটি একটি ডকুমেন্ট রেডি হবে; যেখানে একটি শব্দও পরিবর্তন করতে হবে না, তখন আমরা সই করবো। তখন আমি বিস্তারিত বলতে পারবো। খসড়া পর্যায়ে এটি আলাপ না করাই ভালো।’
তিন বছরের জন্য এই অফিসের বিষয়ে দুপক্ষ সম্মত হয়েছে এবং দুই বছরের মাথায় পর্যালোচনা হবে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘খসড়াটি এখন জাতিসংঘ বিবেচনা করছে। জাতিসংঘ মানবাধিকার অফিসের মেয়াদ নির্দিষ্ট করা আছে। মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে পরবর্তী সরকার যদি মনে করে— তাদের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করবে, তাহলে তারা থাকবে, নাহলে তারা থাকবে না।’
খসড়া কত দিনের মধ্যে চূড়ান্ত হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ’এ ধরনের কোনও টাইমফ্রেম নেই। এরইমধ্যে দুপক্ষের চারবার খসড়া চালাচালি হয়েছে। এরপর আমরা সেটিকে পরিবর্তন করেছি। তারা আবার কিছু পরিবর্তনের কথা বলেছে। কাছাকাছি যাওয়ার পরে অন্যান্য যে প্রক্রিয়া আছে, সেটি শুরু করেছি। সেই পর্যায়ে তাদের দেওয়া কিছু পরিবর্তন আছে এবং অনেকটা আমরা সম্মত হয়েছি। বাকি পরিবর্তনগুলো যদি তারা গ্রহণ করে এবং বলে যে আবার পরিবর্তন করো, তবে আমরা দেখবো সেটি পরিবর্তন করা যাবে কিনা।’
নতুন জাতিসংঘ আবাসিক প্রতিনিধি হিসেবে যার নাম প্রস্তাব করা হয়েছে, তাকে নিয়ে কোনও ‘অস্বস্তি’ আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তারা প্রস্তাব করেছে। আমাদের পক্ষ থেকে সম্মতি দিতে হবে। আমরা এখনও সম্মতির প্রক্রিয়া শুরু করিনি। কাজেই প্রক্রিয়া শুরু হোক, তারপরে বলা যাবে।’