জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ বলেছেন, আলোচনায় অগ্রসর হওয়া বিষয়গুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করতে চায় কমিশন। তিনি মনে করেন, কমিশন ও দলগুলোর মধ্যে লক্ষ্যে কোনও মতভিন্নতা নেই। সবার উদ্দেশ্য এক। সবার অব্যাহত সহযোগিতায় জুলাইয়ের মধ্যে জাতীয় সনদ তৈরির আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বেলা সোয়া ১১টায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের এগারোতম দিনের বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আজকের আলোচনার বিষয়বস্তু প্রধান বিচারপতি নিয়োগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও জরুরি অবস্থা ঘোষণা।
ড.আলী রীয়াজ বলেন, প্রথম পর্যায়ের দুই মাসের আলোচনায় অনেক বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, যা জাতীয় সনদ তৈরির ক্ষেত্রে অনেকটা এগিয়ে নিয়ে গেছে। রাষ্ট্র সংস্কারের মৌলিক বিষয়গুলোতে আমাদের একমত হওয়া প্রয়োজন। রাষ্ট্রকে এমন একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কখনও ফ্যাসিবাদী শাসন প্রতিষ্ঠা না হয়।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আজকের বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, এলডিপি, গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, আমার বাংলাদেশ পার্টিসহ (এবিপার্টি) ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি অংশ নেন।
বৈঠকে কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন– বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।