‘তনু হত্যার দায় সেনাবাহিনী এড়াতে পারে না’

গণজাগরণ মঞ্চকুমিল্লার কলেজছাত্রী সোহাগী জাহান তনুকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। শুক্রবার গণজাগরণ মঞ্চের নাগরিক সমাবেশে বক্তারা এ প্রশ্ন তোলেন।
শাহবাগে আয়োজিত ‘তনু হত্যার বিচার ও ধর্ষণের সর্বোচ্চ বিচার মৃত্যুদণ্ড করার দাবি’ শীর্ষক সমাবেশে বক্তারা বলেন, ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে তনুকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে। এর দায় সেনাবাহিনী এড়াতে পারে না।
সমাবেশে সিপিবি নেতা জলি আক্তার বলেন, কেন স্বাধীন বাংলাদেশের সেনাবাহিনী পাহাড়ে নারীদের ধর্ষণ করছে? প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উদ্দেশে এ শ্রমিক নেতা বলেন, মুক্তিযুদ্ধে ২ লাখ মা-বোন ধর্ষণের শিকার হয়েছে। কিন্তু কেন স্বাধীন দেশে আরও ২ লাখ মা-বোনকে ধর্ষণের শিকার হতে হচ্ছে।
শিল্পী মাহমুদুজ্জামান বাবু বলেন, কল্পনা চাকমাকে যখন আর্মিরা ঘর থেকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল, তখন তিনি চিৎকার করেছিলেন, আর্তনাদ করেছিলেন। আমি জানি না, তনুকে যখন সেনানিবাসে ধর্ষণ করা হয়েছিল, তখন তনু আর্তনাদ করেছিলেন কী না।
তনুর বিষয়ে বুদ্ধিজীবীদের নিশ্চুপ থাকার প্রতিবাদ করে তিনি বলেন, আমাদের বুদ্ধিজীবী, শিল্পীরা আজ রাষ্ট্রের কাছে নতজানু। তারা ভীত, পরাস্ত, অবনত। রাষ্ট্র এই অবনত মুখ দেখে ক্রুর হাসি হেসে নির্মলেন্দু গুণের হাতে পুরস্কার তুলে দিয়েছে। রাষ্ট্র এই চেহারাই দেখতে চায়।

সভাপতির বক্তব্যে ইমরান এইচ সরকার অনতিবিলম্বে ধর্ষণের সর্বোচ্চ বিচার মৃত্যুদণ্ড করার দাবি জানিয়ে বলেন, তনু হত্যার বিচারের দাবিতে সারা দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হলেও সরকারের কোনও টনক নড়ছে না। একই ধারাবাহিকতায় বিবৃতি, বক্তব্যে সরকার তনুর বিষয়ে ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের চেষ্টায় আছে। তারা বিচার ত্বরান্বিত করছেন না।

এছাড়া সমাবেশে ছাত্র ইউনিয়ন, সিপিবি নারী সেল, জাসদ ছাত্রলীগ, ছাত্রফ্রন্টসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বক্তব্য দেন।

এসটিএস/এমএম/এজে/