রবিবার বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সমর্থন জানিয়ে বক্তব্য রাখে বিভিন্ন প্রগতিশীল দলের নেতারা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
সমাবেশে অংশ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ফাহমিদুল হক বলেন, তনু হত্যার বিচারের আন্দোলন কুমিল্লা থেকে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। সবাই তনুকে নিজের বোন মনে করছে। সারাদেশে ছাত্র ধর্মঘট পালন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এসময় হত্যার তদন্ত বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা পুলিশের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছি না। তারা ইচ্ছে করলে যেকোনও ঘটনার তথ্য উদঘাটন করতে পারে। আবার উপরের আদেশে ঘটনার তথ্য চেপেও যেতে পারে।
এসময় সোমবার সবাইকে ছাত্র ইউনিয়েনের সারাদেশের স্কুল ও কলেজে ধর্মঘট পালনের আহ্বান জানিয়ে লাকি আক্তার বলেন, তনুর হত্যাকাণ্ডের পর আরও কয়েকটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এতে হয়তো কিছু মানুষের টনক নড়েছে, কিন্তু আজকের পুঁজিবাদী সমাজ ব্যবস্থা নারীকে যেভাবে পণ্যে পরিণত করেছে সে সম্পর্কেও আমাদের ভাবা দরকার। নারীকে ভোগপণ্য হিসেবে ব্যবহৃত হওয়া থেকে অব্যহতি না দেওয়া পর্যন্ত ধর্ষণ সমস্যার সমাধান হবে না।
লেখক ও সাহিত্যিক রাখাল রাহা বলেন, এখন আমাদের দুর্যোগের সময় চলছে। আর এ দুর্যোগ রাষ্ট্র চাপিয়ে দিয়েছে। তাই এ সময় আমাদের বিচ্ছিন্ন থাকলে চলবে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরমেন্স স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী রাগীব নাঈম বলেন, ধর্ষকরা আজ শুধু দেশের আনাচে কানাচেই নেই, তারা দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠেও আছে। যেখানে তারা ছাত্রীদের বিভিন্নভাবে যৌন নির্যাতন করছে।
এদিকে তনু হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে সকাল ৭টা থেকে সারাদেশের মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও ছাত্র ধর্মঘট পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
/এসআর/এনএস/এএইচ/আপ-এনএস/