বাঁশখালীর ঘটনায় তিনটি মামলা, আসামি ৬২০০

বাঁশখালীতে গ্রামবাসী ও পুলিশের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছে

চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় এস আলম গ্রুপের বিদ্যুৎকেন্দ্র বিরোধী গ্রামবাসী ও পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় তিনটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে দুটি মামলা করেছেন নিহত দুই ব্যক্তির স্বজনরা। পৃথক আরেকটি মামলা করেছে পুলিশ।

গণ্ডামারা ইউনিয়নের পশ্চিম বড়ঘোনা এলাকায় সোমবার বিকালের এই সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়। এ ঘটনায় ১১ পুলিশসহ কমপক্ষে ১৯ জন আহত হন।

সব মামলা বাঁশখালী থানায় হয়েছে। চট্টগ্রাম পুলিশের সুপারিনটেডেন্ট (বিশেষ শাখা) আবদুল আউয়াল একথা জানিয়েছেন।

সংঘর্ষে আহত, বাঁশখালী

বাঁশখালীর এ ঘটনা তদন্তে এক সদস্যের একটি কমিটি করেছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মমিনুর রশিদ জানান, তাকে এই তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছে। আগামী সাত কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

কয়লাভিত্তিক বেসরকারি ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য জমি নেওয়াকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসী ক্ষুব্ধ ছিল। তবে একটি অংশ ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পক্ষে অবস্থান নিলে দুই পক্ষে উত্তেজনা দেখা দেয়। পুলিশ জানিয়েছে, ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী তাদের ওপর হামলা চালালে তারা আত্মরক্ষার্থে গুলি চালায়।

চট্টগ্রাম পুলিশের অতিরিক্ত সুপারিনটেনডেন্ট মো. হাবিবুর রহমান বলেন, পুলিশের সহ-পরিদর্শক বাহার মিয়া বাদী হয়ে ৫৭ জনের নাম উল্লেখ এবং তিন হাজার ২০০ জন অজ্ঞাত আসামির নামে একটি মামলা করেছেন।

তিনি বলেন, ‘সংঘর্ষে জড়িত এমন তিনজনকে আমরা এরই মধ্যে গ্রেফতার করেছি।’

সংঘর্ষে নিহত আনোয়ার আলীর বড় ভাই বশির আহমেদ ৬ আসামির নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত দেড় হাজার জনকে আসামি করে একটি মামলা করেছেন।

আরেকটি মামলা করেছেন সংঘর্ষে নিহত জাকের হোসেনের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম। তিনি বাদী হয়ে অজ্ঞাত দেড় হাজার জনকে আসামি করে মামলাটি করেছেন।

উল্লেখ্য, এস আলম গ্রুপের সঙ্গে চীনের একটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কোম্পানির ১৩২০ মেগাওয়াটের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি স্থাপনে সম্প্রতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

/এসটি/