ব্লু ইকোনমিতে ভারতের সহযোগিতা চায় সরকার

বঙ্গোপসাগর২০১৩ সালে মায়ানমার ও ২০১৪ সালে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির পর, সরকার এ বিশাল অঞ্চলের সম্পদ কী করে টেকসইভাবে ব্যবহার করা যায়, সেটি নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করে। ২০১৪ সালেই ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়একটি আন্তর্জাতিক কর্মশালা, যেখানে ১৯ দেশ থেকে ৩২ জন বিশেষজ্ঞ অংশগ্রহণ করে।
সে সময় বাংলাদেশ বঙ্গোপসাগর তীরবর্তী অঞ্চলের দেশগুলি নিয়ে একটি জোট গঠনের বিষয়ে কার্যক্রম শুরু করে। এর ধারাবাহিকতায় সরকার ভারতের সঙ্গে ব্লু ইকোনমি নিয়ে একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের আয়োজন করতে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, সামদ্রিক সম্পদ টেকসইভাবে আহরণকে  ব্লু ইকোনমি নামে অভিহিত করা হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান,গত ফেব্রুয়ারি মাসে পররাষ্ট্র সচিব এম শহিদুল হকের ভারত সফরের সময়ে এ বৈঠকের বিষয়টি চুড়ান্ত হয় এবং আশা করা যায় খুব শীঘ্রই এটি অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, টেকসই পদ্ধতিতে সমুদ্রসম্পদ আহরণ সংক্রান্ত জ্ঞানের অভাব আছে বাংলাদেশের এবং এ বিষয়ে ভারতের অভিজ্ঞতা বেশি।আমরা তাদের কাছে জ্ঞান সহযোগিতা বা নলেজ শেয়ারিং এর প্রস্তাব করবো।
তিনি বলেন,এ মুহূর্তে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ সার্ভে বা যৌথ মাছ আহরণের সম্ভাবনা কম। কারণ আমাদের এ বিষয়গুলোতে সক্ষমতার অভাব আছে।
ভারতীয় কোম্পানি ওএনজিসি এককভাবে বাণিজ্যিক চুক্তির অধীনে বাংলাদেশের সীমানার অভ্যন্তরে বঙ্গোপসাগরের অগভীর পানিতে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানের কাজ করছে।

সমুদ্র সীমানা বিরোধ নিষ্পত্তির পর বাংলাদেশ বঙ্গোপসাগরে ১,১৮,৮১৩ বর্গ কিলোমিটার পরিমাণ জায়গার ওপর সার্বভৌম অধিকার পেয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম তীর থেকে ৩৫৪ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত সুমদ্র তলদেশ ও এর উপরের সকল সম্পদের মালিকানা পেয়েছে।

বাংলাদেশের প্রায় তিন কোটি লোক বঙ্গোপসাগরের ওপর জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন।

এসএসজেড/এপিএইচ/