ঢামেকের ঝুঁকিপূর্ণ সব ভবন ভাঙার ঘোষণা

হেরিটেজ বড় না মানুষ বড়: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

কথায় কথায় হেরিটেজ রক্ষায় যারা লাফ দিয়ে ওঠে তাদের কাছে জীবন বড় না হেরিটেজ বড়- এমন প্রশ্ন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের কথা উল্লেখ করে তিনি হেরিটেজ নিয়ে যারা কথা বলেন তাদের প্রতি এমন প্রশ্ন করেন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে অনেকগুলো ঝুঁকিপূর্ণ ভবন রয়েছে এবং যে কোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী  ঘোষণা দেন, সেখানে ঝুঁকিপূর্ণ সবগুলো ভবন ভেঙে আধুনিক যুগোপযোগী ভবন নির্মাণ করা হবে বলে ঘোষণা দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘হেরিটেজ নিয়ে আমি যা বলছি তা নিয়ে টকশো হবে, লেখালেখি হবে। কিন্তু লেখালেখি করে কিছু হবে না, আমি মঙ্গলের জন্য যা করার করবো।’

বুধবার (৬ এপ্রিল) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ প্রাঙ্গনে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব বার্ন ও প্লাস্টিক সাজারি ইউনিটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভবন ভেঙে মানুষ মারা গেলে হেরিটেজবাদীরা সে দায় নেবে না, সে দায় সরকারের ওপরই পড়বে।’

প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে দুটি মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় করা হবে। সেখানে শুধু উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা হবে। কারণ দিন যতই যাচ্ছে নতুন নতুন রোগের সৃষ্টি হচ্ছে। প্রতিটি হাসপাতালের সঙ্গে যেন যোগাযোগ থাকে সেজন্য ডিজিটাল পদ্ধতিতে লিংক তৈরি করা হবে। এই লিংক আন্তর্জাতিক বিশ্বের সঙ্গেও থাকবে। সারাদেশে হাসপাতালগুলোতে বার্ন ইউনিট চালু করা হবে।

অনুষ্ঠানে সভপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব সৈয়দ মঞ্জরুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, প্রতিমন্ত্রী জাহেদ মালেক স্বপন, ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন, প্রকল্প পরিচালক ডা. সামন্ত লাল সেন।

নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর বার্ন ইনস্টিটিউটের সঙ্গে দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসার জন্য থাকবে ৫০০ শয্যার হাসপাতালে। চাঁনখারপুলে ১ দশমিক ৭৬ একর জমিতে এই ইনস্টিটিউট নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৩৪ কোটি টাকা। ২০১৫ সালের ২৪ নভেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন পাওয়া এ প্রকল্পের কাজ ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করা যাবে বলে আশা করছে সরকার। 

 

/পিএইচসি/বিএল/ এফএস/