বুকে ‘রাজাকার নিপাত যাক’ শ্লোগান লিখে মিছিলে অংশ নেন নাজিম

রাজধানীর সূত্রাপুরে নিহত নাজিমুদ্দিন সামাদ ছিলেন সিলেট গণজাগরণ মঞ্চের একনিষ্ঠ কর্মী। যুদ্ধাপরাধী এবং রাজাকারদের বিচারের দাবিতে তিনি ছিলেন সোচ্চার। নব্বুইয়ের গণ আন্দোলনের সময়ে নূর হোসেন যেমন বুকে পিঠে ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ লিখেছিলেন, তার অনুকরণে সিলেটে গণজাগরণ মঞ্চের প্রথম দিকের কর্মসূচিতে বুকে ‘রাজাকার নিপাত যাক’ শ্লোগান লিখে মিছিলে যোগ দেন প্রগতিশীল এই তরুণ। সিলেট গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম সংগঠক রজত কান্তি গুপ্ত বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সামাদ ছিলেন আমাদের একজন ভালো কর্মী। তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করায় গণজাগরণ মঞ্চ বিকেলে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল বের করবে বলে জানান তিনি।নাজিমের বুকে স্লোগান
নিহত নাজিমুদ্দিন সামাদের বাড়ি বিয়ানীবাজার উপজেলার তিলপাড়া ইউনিয়নের টোকা বরাউট গ্রামে। গ্রামের কেবল তার মা ও ছোট বোন বসবাস করেন।এছাড়া, পরিবারের বাকি সবাই যুক্তরাজ্যে বসবাস করেন।
বিয়ানীবাজারের সাংবাদিক আহমেদ ফয়সল জানান, নাজিমুদ্দিনের চাচাতো ভাই বদরুল ইসলাম অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর সংবাদ শুনে যুক্তরাজ্য থেকে আজ সকালে ঢাকা এসে পৌঁছেছেন। পরিবারের পক্ষ থেকে তিনি রাজধানীতে নাজিমের লাশ গ্রহণ করবেন। আজ বৃহস্পতিবার রাতে নাজিমের লাশ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হবে বলে পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে। তবে নাজিমের নিকটাত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের কেউ সেল ফোন রিসিভ করেননি।
জানা গেছে, সিলেট নগরীর ৯/১ জালালাবাদ আবাসিক এলাকায় নাজিমের পরিবারের বাসা। সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, স্কলার্স হোম এবং লিডিং ইউনিভার্সিটি লেখাপড়া করেন নাজিম। ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর তার পরিবারের সদস্যরা সিলেটের বাসা ছেড়ে বিয়ানীবাজারের মাটিজুরায় চলে আসেন। তার পিতার নাম মৃত আবদুস সামাদ।
নাজিম সিলেট জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এর দায়িত্ব পালন করেছেন। সরকারি দলের একটি অঙ্গ সংগঠনের দায়িত্বে থাকলেও তিনি যৌক্তিক বিষয়ে ফেসবুকে সরকারি দলের সমালোচনা করতেন।
বুধবার রাত সাড়ে নয়টায় রাজধানীর সূত্রাপুরে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে হত্যা করে নাজিম। ধর্মীয় উগ্রপন্থীরাই তাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

/টিএন/

/আপ: এইচকে/