কেবল থানাই না, এই কুকুর কাঁপিয়ে দিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকও। বাংলাদেশ অ্যানিমেল ওয়ালফেয়ার ফাউণ্ডেশন -এর অভয়ারণ্য পেজে লেখা হয়েছে, এই কুকুরটি ১০ এপ্রিল গুলশান থানায় পাওয়া গেছে। গুলশান থানা কুকুরটি আজমত আলী নামে একজনকে দিয়ে দিয়েছে বলে তারা দাবি করলেও কুকুরটি এখনও থানাতেও আছে। কুকুর ছাড়াও অন্য প্রাণী পোষেন এমন কয়েক ব্যক্তি কুকুরটি তার পোষা কুকুরের মতোই দেখতে বলে দাবিও করেন। কেউ কেউ গুলশান থানায় গিয়ে কুকুরটির ছবিও তুলে এনেছেন। ছবি দিয়ে চলছে মালিক খোঁজার চেষ্টা।
দীর্ঘদিন বাসায় কুকুর পালন করেন এমন একজন ব্যবসায়ী রিয়াজুল বারী। তিনি বলেন, পোষা কুকুরের ক্ষেত্রে জার্মান শেফার্ড এর কদর অনেক। কেননা, জার্মান শেফার্ড সবচেয়ে বিশ্বস্ত কুকুর বলে বিবেচিত হয়। যারা কিনা পরিবারের দেখা শোনাও করে, বিশেষ করে বাচ্চাদের।ছোট বাচ্চা আছে এমন পরিবারের জন্যে বাইরের দেশে এদের রাখা হয়।
কিভাবে কুকুরটিকে পাওয়া গেল জানতে চাইলে থানার এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এটি আমাদের পুলিশবক্সের পাশে ছিল। বাঁধা ছিল না বলেই আমি জানি। তবে, এধরণের কুকুর দেখতে অভ্যস্ত না থাকায় সবাই ভয় পাচ্ছিলেন। পরে এটাকে ধরে থানায় আনা হয়। তিনি বেকায়দার কথা উল্লেখ করে বলেন, আমরা কেউ জানি না এদের যত্ন কিভাবে নেওয়া হয়। তবে মোটামোটি যত্ন নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, লাইসেন্স না থাকায় কেউ এটাকে হয়তো ফেলে দিয়ে যেতে পারেন। নিশ্চিত বলা না গেলেও সে সম্ভাবনা আছে।
/এপিএইচ/