সরেজমিনে দেখা গেছে, রমনা ও এর আশেপাশের এলাকায় মানুষ বড়-বড় গাছের ছায়ায় বসে গরম থেকে বাঁচার চেষ্টা করছেন। কিন্তু অতিরিক্ত ভীড়ের কারণে তাও সম্ভব হচ্ছিল না। তীব্র গরমে শিশুদেরই বেশি সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এ সুযোগে শরবত, পানি, বিভিন্ন পানীয়, আনারস, তরমুজ, ডাব, শসা ও কাঁচা আম অতিরিক্ত দামে বিক্রি করতে দেখা গেছে খুচরা ব্যবসায়ী ও হকারদের।
এদিকে, রমনা পার্ক এলাকায় ঘুরতে দেখা গেছে রাজধানীর ঝিগাতলা থেকে মহিবুর রহমানকে। তিনি বলেন, যত গরমই হোক, প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখের এই উচ্ছ্বাস থেমে থাকে না। তাই গরম কোনও বিষয় নয়। ছুটির দিনে ঘুরতে বেরিয়েছি এটাই বড় কথা।
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন মাহফুজা আক্তার। তীব্র গরমেও রমনা এলাকায় ঘুরতে আসা প্রসঙ্গে বলেন, পহেলা বৈশাখতো বছরে একদিনই আসে। এছাড়া, এই এলাকায় নানা অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। সবসময় ঘোরাঘুরির সুযোগ হয়ে ওঠে না। গরম হলেও তাই আজকের দিনে ঘুরতে বের হয়েছি।
মুগদা থেকে ঘুরতে এসেছেন আবদুল হাই স্বপন। তিনি আরামবাগে কাগজের ব্যবসা করেন। দুপুর ১২ টার দিকে রমনা পার্কের বিপরীতে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেন, গরম বেশি হতে পারে বলে ধারণা ছিল। এছাড়া, বিকেল ৫টার পর আবার পুলিশের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাই সকালেই ঘুরতে বের হয়েছি। তিনি বলেন, ভ্যাপসা গরমে অস্থির লাগছে। তাই দুপুরের মধ্যেই বাসায় চলে যাব।
এদিকে, আবহাওয়া অধিদফতরের ডিউটি অফিসার আবহাওয়াবিদ রাশিদুজ্জামান বিকেল ৩টায় বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, দুপুর ১টার দিকে রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিকাল ৩টায় সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
/এমএনএইচ/